>
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে সাংবাদিক তামিম হাসানের প্রেম, বিয়ে নিয়ে বিনোদনপাড়ায় কম আলোচনা হয়নি। অনেকেই বলেছেন, বছর দেড়েক আগেই বিয়ে করেছেন তাঁরা। একই ছাদের নিচে বাস করছেন। আবার কেউ কেউ বিয়ের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পরীমনি বা তামিম, কেউই মুখ খোলেননি। তবে কোনো রাখঢাক না রেখে একসঙ্গে একান্তে সময় কাটানো আর দেশে ও বিদেশে বেড়ানোর ছবি তাঁরা পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এবার পরীমনি ও তামিমের বাগদানের মধ্য দিয়ে তাঁদের বিয়ের বিষয়টি গুজবই হয়ে থাকল। তিন বছর প্রেম করার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাত সাড়ে নয়টায় পরীমনির বনানীর বাসার ছাদে পরীমনি ও তামিমের বাগদান সম্পন্ন হয়। বাগদান ও পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম আলো অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।
বাগদানের সময় কেমন লেগেছিল?
হবু শাশুড়ি আমার গলায় চেইন পরিয়ে দিয়েছেন। আর দুই ননদ দুই কানে দুল পরিয়ে দেন। তবে শাশুড়ি যখন আমার গলায় চেইন পরিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন খুব লজ্জা পেয়েছি।
বাগদানের পর এখন কেমন লাগছে?
খুব ভালো লাগছে। বিয়ে নিয়ে আমরা দুজনই খানিকটা চাপে ছিলাম। বিশেষ করে তামিমের পরিবার থেকে বাগদানের ব্যাপারে চাপ ছিল বেশি। সবকিছু মিলিয়ে এখন চাপমুক্ত লাগছে। তবে হ্যাঁ, এখন মনে হচ্ছে একটা দায়িত্বের মধ্যে যাচ্ছি। আমি বড় মেয়ে, তামিম বাড়ির বড় ছেলে। তামিমদের বাসায় আমি পরিবারের বড় বউ হয়ে যাব। তবে বড় বউয়ের মতো বড় দায়িত্ব হয়তো নিতে পারব না।
ওই সময় কে কে উপস্থিত ছিলেন?
দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ছিলেন। সব মিলিয়ে শ দুয়েক মানুষ ছিলেন বাগদান অনুষ্ঠানে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমাদের বাগদান হয়েছে। ওই সময় আমার নানা, খালা আর তামিমের পরিবারসহ চাচা, খালা, ফুফুদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্রপাড়ায় অনেক দিন থেকে শোনা যাচ্ছে, আপনি আর তামিম আগেই বিয়ে করেছেন।
আমাদের বিয়ে নিয়ে গুজবের শেষ ছিল না। আমরাও বিভিন্ন সময় এমন কথা শুনেছি। বিষয়টি মিথ্যা হওয়া সত্ত্বেও আমরা সেভাবে কোনো তর্কে যাইনি। এখন তো পরিষ্কার হলো। বিয়ে পবিত্র একটা ব্যাপার। তা নিয়ে মিথ্যা বলার কিছু নেই।
বাগদান হয়ে গেল, বিয়েটা কবে হবে?
আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এত সময় নিচ্ছেন কেন?
সময় তো নিতেই হবে। কারণ, এর মাঝে বিয়ের আগের অনেক অনুষ্ঠান আছে! বিনোদন ভুবনের মানুষগুলোকে আমার পরিবার মনে করি। বাগদানে তাঁদের কাউকে দাওয়াত করতে পারিনি। তাই বিনোদন জগতের মানুষদের নিয়ে শিগগিরই একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করব। এরপর আরও আনুষ্ঠানিকতা আছে। সেগুলো সারতে সারতেই এক বছর লেগে যাবে।
বাগদানের আগে দুজন দেশে ও বিদেশে নানা জায়গায় ঘুরেছেন। বাগদানের পর কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন?
ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যাওয়া হবে না। কারণ, বড় একটি কাজ আমার হাতে আছে। চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রস্তুতি নিতে হবে। এরপর শুটিং। ফলে, অন্য কোনো দিকে তাকানোর সময় পাব না। কাজটি শেষ করে হবু শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাব। বাগদানের আগে অবশ্য সেখানে দুবার গিয়েছি।
বাগদানের সিদ্ধান্ত কবে নিলেন?
মাস তিনেক আগে। তিন বছর প্রেমের পরিণতি এই বাগদান। এই দীর্ঘ সময় আমাদের দুজনের মধ্যে কখনো ঝগড়া হয়নি। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মান-অভিমান হয়েছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি। এখন দুজনের মনে হয়েছে, আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাব না। আগামী জীবনটা আরও সুন্দর করে কাটাতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মিডিয়াতে আপনার কাজ নিয়ে হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো নিষেধ আছে?
না, তাঁরা আমাকে আরও উৎসাহ দেন। গত সপ্তাহে আমার নতুন ছবি ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ মুক্তি পেয়েছে। দুই ননদকে নিয়ে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। ছবি দেখে বের হয়ে ননদরা আমাকে আরও বেশি বেশি কাজ করতে বলেছেন।
তামিমের সঙ্গে কখন, কীভাবে পরিচয় হলো?
২০১৬ সালে ১১ জানুয়ারি। টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে পরিচয়। এরপর টুকটাক কথা হতো। ওই বছর ২১ জানুয়ারি বন্ধুত্ব হয়। ১২ জুলাই আমরা একে অপরকে প্রেমের প্রস্তাব দিই। ২০১৮ সালে ১২ জুলাই তামিম আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হয়ে যাই।