তখনকার কষ্টগুলো, খারাপ লাগাগুলো এখন আলো ছড়াচ্ছে জীবনেপ্রতিশ্রুতিশীল অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন মুশফিক ফারহান। সুইপার ম্যান, কালাই, চুইংগামসহ বেশ কিছু নাটকে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এখন তিনি কাজ করছেন ঈদুল ফিতরের নাটকে। গতকাল কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
কোন নাটকের শুটিং চলছে?
ওয়েডিং ক্রাশ, পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন। সঙ্গে আছেন তানজিন তিশা। এর আগে তিন দিন গাজীপুরে, আজ উত্তরায় শুটিং করছি।
ঈদে কতগুলো নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
নসিব, ভুলো না আমায়, হাঙ্গর ও লাস্ট লাভ নামে চারটি নাটকে কাজ করেছি। আরও তিনটি করতে পারি। তবে আগের শুটিং করা কিছু কাজও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে। এখন একটু সময় নিয়ে ভালো কাজ করার চেষ্টা করি।
কোন নাটকের শুটিং চলছে?
ওয়েডিং ক্রাশ, পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন। সঙ্গে আছেন তানজিন তিশা। এর আগে তিন দিন গাজীপুরে, আজ উত্তরায় শুটিং করছি।
ঈদে কতগুলো নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
নসিব, ভুলো না আমায়, হাঙ্গর ও লাস্ট লাভ নামে চারটি নাটকে কাজ করেছি। আরও তিনটি করতে পারি। তবে আগের শুটিং করা কিছু কাজও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে। এখন একটু সময় নিয়ে ভালো কাজ করার চেষ্টা করি।
আপনি আরজে (রেডিও জকি) ছিলেন। নাটকে এলেন কেন?
২০১৬ সালে রেডিওর অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আরজে থাকা অবস্থায় নাটকের বেশ কয়েকজন পরিচালক ও শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। অনেকেই নাটকে কাজ করতে উৎসাহ দিতেন। আমিও ভাবলাম, করে দেখি। বান্না (মাবরুর রশীদ) ভাইয়ের একটি তিন মাসের গল্প নাটকে কাজ করলাম। এভাবে টুকটাক কাজ করতে থাকলাম। শুরুর দিনগুলো অনেক কঠিন ছিল, মন খারাপেরও ছিল।
কেমন?
প্রথম দিকে ছোট ছোট চরিত্র করতাম। এমনও হয়েছে, সকালে একটা দৃশ্য করেছি আবার রাতে আরেকটা। মাঝে সারা দিন মেকআপ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেছি। অন্য শিল্পীদের শুটিং দেখতাম। কোনো কোনো সময় মেকআপ নিয়ে সারা দিন বসে থেকে একটা শটও নেওয়া হতো না আমার। মেকআপ নিয়ে বসে থাকতে থাকতে নাটক থেকে বাদও পড়েছি। কষ্ট লাগেনি তা বলব না, লেগেছে। তবে হতাশ হইনি, যার ফল এখন পাচ্ছি। তখনকার কষ্টগুলো, খারাপ লাগাগুলো এখন জীবনে আলো ছড়াচ্ছে।
শুনেছি মেহ্জাবীন, তিশা, ফারিণরা একসময় আপনার বিপরীতে কাজ করতে চাইতেন না।
হ্যাঁ, সত্য। তবে এ জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগা নেই। ভালো শিল্পীরা এমনটা করতেই পারেন। তাঁরা তো চাইবেনই তাঁদের বিপরীতে ভালো কেউ কাজ করুক। আমি হলেও হয়তো এটাই করতাম। হয়তো তখন তাঁদের বিপরীতে আমার কাজ করার যোগ্যতা আছে বলে তাঁরা মনে করেননি। তা ছাড়া তখন দর্শকের কাছেও তেমন গ্রহণযোগ্যতা ছিল না আমার। ওই সময়ে নিজের ভেতর অভিনয় শেখার বা ভালো কাজের তাগিদ তৈরি হয়েছে।
জীবন কি তাহলে পাল্টে গেছে?
২০১৯ সালে একক নায়ক হিসেবে দেয়ালের ওপারে নামের একটি নাটকে কাজের সুযোগ হয় আমার। আমার বিপরীতে ছিলেন পারশা ইভানা। ওই বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত হয় নাটকটি। বেশ আলোচিত হয়েছিল। এর পরপরই আমরা একই জুটি ব্লেড নামের আরেকটি কাজ করি। সেটিও দর্শক গ্রহণ করেন। এর পর থেকে মনে হলো জীবন পাল্টে যাচ্ছে।
অনেকে বলেন, আপনার মধ্যে আফরান নিশোর ছায়া আছে। আপনি তাঁকে অনুসরণ করেন।
আমার মনে হয় না। তবে তাঁর ছায়া যদি আমার মধ্যে থাকেই, আমি তো সৌভাগ্যবান। নিশো ভাই হুমায়ুন ফরীদি স্যারকে ফলো করেন, স্যারকে তিনি আইডল মানেন। কিন্তু আমার পছন্দের অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। যদিও আমি কাউকে অনুসরণ করি না।