রোববার দুপুরে বুবলী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেন, ‘কথা ছিল। ফ্রি থাকলে নক দিয়েন।’ কয়েক মাস ধরে যেই বুবলীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁর নম্বর থেকে এমন এসএমএস দেখামাত্রই ফোন করলাম। কেটে দিলেন। কিছুক্ষণ পর অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন, ও প্রান্ত থেকে বললেন, ‘আমি বুবলী।’ ‘আরে, আপনি কোথায়? সবাই তো আপনাকে খুঁজে হয়রান।’ বললেন, ‘আছি তো আমি। উত্তরার বাসা থেকেই কথা বলছি।’
বছরের প্রথম দিন ফেসবুক একটি ছবি পোস্ট করলেন। অনেকে বলছেন, পুরোনো ছবি। ছবিটা আসলে কবেকার?
এই ছবি একদমই নতুন। অনেকে আমার পরিবর্তন দেখে কনফিউজড হচ্ছেন। আমার মজাই লাগছে। নতুন বছরে নতুন লুক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে চেয়েছি। তাই সপ্তাহ দেড়েক আগে ফটোশুট করেছি। নতুন লুক সবাই খুব পছন্দ করেছেন।
ছবিতে আপনার পরিবর্তন ছিল লক্ষণীয়। নিজের এতটা পরিবর্তন কীভাবে করলেন?
নিজেকে অনেক বেশি গ্রুমিং করতে হয়েছে। অনেক সময় দিতে হয়েছে, প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিউ লুক উপস্থাপন তো, নট আ ম্যাটার অব জোক, ইট টেকস টাইম। ওই জায়গা থেকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। অনেক সময় চাইলেও কাজের চাপে তা সম্ভব হয় না। এবার যেহেতু লম্বা সময় কাজ ছিল না, তাই নিজেকে তৈরির সময়টা দিয়েছি।
তার মানে কোভিড-১৯–এর সময়টা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন?
একদমই তা–ই। এই সময়ে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি সবচেয়ে বেশি।
তা ওজন কতটা কমিয়েছেন?
অনেক। অনেক। চলচ্চিত্রে প্রথম যখন এসেছিলাম, তার চেয়েও ওজন অনেক কমিয়েছি।
ওজন কত কমিয়েছেন, তা কিন্তু বললেন না।
২০-২২ কেজি ওজন কমিয়েছি। আমি আসলে কখনোই চোখে পড়ার মতো ফ্যাট ছিলাম না। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয়েছে, আরও প্রপার হতে হবে, ভালো কিছু কাজের জন্য। সে কারণেই ওজন কমানোর মিশন।
তার মানে খাওয়াদাওয়া ও জীবনাচরণে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে নিশ্চয়।
একদমই তা–ই। খাওয়াদাওয়া যে ছেড়ে দিয়েছি, তা কিন্তু নয়। ওজন কমানোর জন্য তা সঠিক পদ্ধতিও নয়। প্রপার ডায়েট মেনটেইন করতে হয়েছে, যাতে অসুস্থ না হয়ে যাই। সবকিছু আসলে রুটিন মেনে করতে হয়েছে। সবকিছু আসলে একটা প্রক্রিয়া।
জানতে পারলাম, পরিচালক সৈকত নাসির ও চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে ‘ক্যাশ’ ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আপনি ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকও চেয়েছিলেন। এরপর আর ছবিতে আপনার নাম শোনা যায়নি। পূজা চেরি কাজ করছেন। আসল ঘটনা কী বলবেন?
‘ক্যাসিনো’ ছবিটি করতে গিয়ে সৈকত নাসির ও তাঁর পুরো টিমের সঙ্গে আমার একটা চমৎকার বন্ডিং তৈরি হয়। এরপর আমাদের আরও কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা আর এগোয়নি। তারপরও আমরা যোগাযোগের মধ্যেই ছিলাম। সপ্তাহ দুই-তিনেক আগে সৈকত নাসির ভাই আমার সঙ্গে ‘ক্যাশ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য যোগাযোগ করেন। আমার মনে হয়, ব্যাটে বলে মেলেনি, তাই কাজ করা হয়নি।
আপনি বলছিলেন, যোগাযোগের মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু আপনাকে তো কেউই পায়নি। এত দিন নিজেকে আড়ালে রেখেছেন কেন?
আমি যখন কাজে থাকি, শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুব সিনসিয়ার থাকি। যখন আমার মনে হয় কাজের চাপ কম, পরের কোনো প্রজেক্টে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার ভাবনা থাকে, গ্যাপ পেলেই তখন আমি আমার মতোই থাকি। এসব কথা বহুবার বলেছিও। যে সময়টায় আমি আড়ালে ছিলাম, তখন অনেকের সঙ্গে কিন্তু আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। এটা ঠিক, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারিনি, সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি দেখেছি, সবাই এই কোভিডের মধ্যে আমি ভালো আছি কি না, নিরাপদে আছি কি না, এ নিয়ে খুব উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। সবার খোঁজ নেওয়া ও ভালোবাসার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
যোগাযোগ না করার বিশেষ কোনো কারণ নেই তাহলে?
আমার ব্যক্তিগত এবং বিশেষ কিছু কারণ তো অবশ্যই আছে। পারিবারিকভাবে চেয়েছি, আলাদা থাকতে। ওই জায়গা থেকে কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। আমার ওই নম্বর বেশ কয়েক মাস ব্যবহার করা হয়নি।
এই সময়টায় আপনি আসলে কোথায় ছিলেন? দেশে নাকি দেশের বাইরে?
ফেব্রুয়ারিতে আমার ‘বীর’ ছবিটি মুক্তি পায়। এর কিছুদিন পরই আমি দেশের বাইরে যাই। ২০১৯ সাল থেকেই আমি পরিকল্পনা করছিলাম, দেশের বাইরে যাওয়ার। অ্যাকচুয়েল কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যেহেতু কাজের চাপ নেই, হাতে থাকা ছবির কাজও শেষ করেছি, তাই ভাবলাম দেশের বাইরে যাই। তখন আমি আমেরিকায় যাই।
কেউ বলছিল লন্ডন, কেউ অস্ট্রেলিয়া, কেউবা আবার যুক্তরাষ্ট্র? আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে ছিলেন (হাসি)?
আত্মগোপনে থাকলে তো কেউই আমাকে ফোনে পেতেন না। সবাই তখন অনুমান করেই কথাগুলো বলেছিলেন। আমি আমেরিকাতেই ছিলাম। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে থেকেছি। ফিল্ম রিলেটেড কোর্স করতেই সেখানে গিয়েছিলাম। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে অ্যাক্টিং ফর ফিল্ম ওয়ার্কশপে ১২ সপ্তাহের একটি কোর্সের জন্য যাই।
তার মানে করোনার সময়টায় আপনি ওখানেই ছিলেন?
আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরই লকডাউন শুরু হয়। মার্চে পরিকল্পনা ছিল ক্লাস শুরুর। শেখার কোনো শেষ নেই, জানারও শেষ নেই। কোভিডের কারণে আমার পরিকল্পিত যে টাইম ডিউরেশন ছিল, তা কমিয়েও আনতে হয়েছিল। তিন মাস টার্গেট করে গেলেও এক মাসে কোর্স শেষ করতে হয়েছে। ভেবেছিলাম, কোর্স শেষে ঢাকায় ফিরব। কিন্তু করোনার কারণে তা আর হলো না। আটকা পড়ে যাই। তা ছাড়া ব্যক্তিজীবনেও যেহেতু নিজেকে সময় দিতে চেয়েছি, তাই কোর্সের পাশাপাশি সেখানে থেকে যেতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের যেখানে আপনি ছিলেন বলছেন, তা তো পুরো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে অ্যাফেক্টেড এরিয়া, কেমন ছিল?
একদমই তা–ই। এই সময়টায় আমি নতুনভাবে জীবনকে জানলাম। নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতিদিনই খবর পাচ্ছিলাম। কী যে ভয়াবহ আতঙ্ক! প্রতিদিন ঘুম ভাঙত অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে। সূর্য দেখে ভাবতাম, এখনো বেঁচে আছি তাহলে। সত্যিই জীবনের ভয়াবহ একটা সময় পার করেছি। সময়টার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। আমার মনে হয়, লকডাউনের সময়কার অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি আগামী দিনে লেখালেখিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারি, একটি বই লিখব।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলেন কবে?
মাস দেড়েক আগে ঢাকায় ফিরেছি।
তার মানে সাড়ে ৯ মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হয়েছে। এত লম্বা সময় সেখানে কী করে কেটেছে?
অনেক কিছু। অনেক। বলে শেষ করতে পারব না। যেহেতু আমার ব্যক্তিগত বিষয় ছিল, নিজেকে নিজের সময় দেওয়ার, তাই ছিলাম। নিউইয়র্কের এই অভিজ্ঞতা সত্যিই ভয়ংকর ছিল। যখন আমি লিখব, তখন সবাই তা জানতে পারবেন আরও বিস্তারিত।
এখন জানাতে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা আছে তা তো বলিনি। এখন বলার মতো কিছু ঘটেনি, তাই বলছি না।
আপনার আড়ালে থাকার সময়টাতে কেউ বলছেন আপনি সন্তানের মা হয়েছেন। আসলেই ঘটনা কী? এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন।
আসলে আমার প্রেম, বিয়ে, সংসার, সন্তান নিয়ে সব সময় নানা ধরনের কথা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা না–ই বলি। সময়ের সঙ্গে সবকিছুই পরিষ্কার হবে। আমরা যারা বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি, কাজের জন্য সবাই আমাদের ভালোবাসেন। তাই আমিও চাই না, ব্যক্তিগত জীবন কাজের চেয়ে বেশি ফোকাসড হোক। শুরু থেকে আমি এভাবেই চলার চেষ্টা করেছি। একতরফা অনেকে অনেক কিছুই শোনেন। এটাও ঠিক, আমরা যারা বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও অনেকে অনেক কিছু জানতে চান। সেই চাওয়া ও আগ্রহকে অবশ্যই সম্মান করি। তাই বলে অনেক কল্পকাহিনি শুনে আপনারাও অনেক কিছু একতরফাভাবে বাছবিচার করে ফেলবেন না যেন। এমনটা করবেন না। সময়টুকুর প্রতি সম্মান দিন। সবকিছু একটা নির্দিষ্ট সময় পর সবার কাছে পরিষ্কার হয়। আমি বলব, গল্পের পেছনেও অনেক গল্প থাকে, তাই আমরা আপাতত ওসবে কান না দিই।
সময়ের সঙ্গে পরিষ্কার হবে বললে একটা আভাস কিন্তু পাওয়াই যায়। তাহলে কী বলবেন?
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আজ পর্যন্ত যাঁরাই আমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছেন, বলিনি। এটাও ঠিক, অনেকে ব্যক্তিগত জীবনকে সবার সামনে মেলে ধরতেও পছন্দ করেন। আমি সেই ঘরানায় হাঁটতে চাই না। তারকাদের নিয়ে সবার ফ্যান্টাসিও কাজ করে। আমি আরেকটু যোগ করতে চাই, তারকা হলেও আমরা মানুষ। আর একজন মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় যখন তিনি জানাতে চান না, বারবার জানতে চেষ্টা করাটা বিব্রতকর, অস্বস্তিকর। সন্তান, বিয়ে—একজন মেয়ের জীবনের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অধ্যায়, তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গেই বলা উচিত।
দুই বছর আগেও একবার ‘সুপার হিরো’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় আপনার মা হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। বারবার আপনাকে নিয়ে এমন খবর কেন রটে? কাউকে কি আপনি শত্রু মনে করছেন?
আমার বন্ধু-শত্রু দুই পক্ষকেই আমি খুব ভালোবাসি। শত্রু তো অবশ্যই আছে। তবে তাঁদের শত্রুও বলতে চাই না, কেউ কেউ আছেন, আমাকে নিয়ে তাঁদের অনেক সমস্যা কাজ করে—শুরু থেকেই তা দেখছি। তাই অনেকভাবে অনেক কিছু ছড়ানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের কথাই কিন্তু তাঁদের সঙ্গে মেলে না। আমাকে নিয়ে এমনটা তাঁরাই করেন, যাঁরা ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। গঠনমূলক সমালোচনা করুক। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি নিজেও চর্চা করি না, অন্য কেউ আমাকে নিয়ে করুক, তা–ও পছন্দ করি না। শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে, তারপরও বলব, আমাকে নিয়ে সারাক্ষণ তাঁরা ভাবেন বলেই এসব কথাবার্তা ছড়ায়। তাই আমি এটাকে পজিটিভলি নিই। বাংলাদেশের তো অনেক মানুষ, কেউ বলে ১৮ কোটি, কেউ ২০—আমার একার পক্ষে তো সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। এটাও ঠিক, যখন কাজের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে, আপনাকে নিয়ে কথা বলবে—এটা আপনার কাজে কিন্তু গতি এনে দেবে। যাঁর কাজ থাকবে, তাঁকে নিয়েই আলোচনা হবে—এটাই স্বাভাবিক।
আপনার শুরুটা হয় শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হওয়ার মধ্য দিয়ে। তাঁকে নিয়েও অনেক মুখরোচক খবর শোনা যায়। তাঁর সঙ্গে আপনার আসলে সম্পর্কটা কী?
বরাবরই শাকিব খান, যিনি সবার ভীষণ পছন্দের নায়ক—তাঁকে নিয়ে আমার সঙ্গে নানা কথা হয়। আমাদের শুরুটা শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘প্রিয়া রে’ ছবি দিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে শুরু হয় ‘বসগিরি’ দিয়ে। একে একে আমরা জুটি হয়ে অনেকগুলো ছবিতে কাজ করেছি। শুরুটা শাকিব খানের সঙ্গে হয়েছে, তিনি কিন্তু আমাকে নানাভাবে গাইডও করেছেন। তাই হয়তো অনেক কথা রটেছে। এসব নিয়ে এত বেশি কথা হয়েছে—আর কিছুই বলতে ইচ্ছা করছে না। অনেকের এমনও ধারণা ছিল, শাকিব খানের বাইরে অন্য কারও সঙ্গে কাজ করব না। তা এরই মধ্যে কিন্তু ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শাকিব খানও কিন্তু কোনো বাধ্যবাধকতা দেননি। তিনি আমাকে সব সময় উৎসাহ দিতেন, ভালো গল্প পেলে অন্যদের সঙ্গেও যেন কাজ করি। তিনিও কাজ করেছেন অন্যদের সঙ্গে। সামনে আমাদের যদি আবার সুযোগ তৈরি হয়, একসঙ্গে কাজ করব। এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।
নতুন বছর শুরু হয়েছে। এই বছরটায় সিনেমা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী? কেমন কাজ করতে চান। কোন ঘরানার ফিল্মকে প্রাধান্য দেবেন?
সিনেমা নিয়ে বরাবরই আমার প্রত্যাশা বেশি। আমি হতাশার কথা বলতে চাই না। বলতে চাই না যে কী হচ্ছে, কী নেই। তবে এটাও ঠিক, পরিকল্পনা করে যে কিছুই হয় না, ২০২০ সালে আমরা তা দেখেছি। পুরো পৃথিবীই বদলে গেছে। যেভাবে সবাই সবকিছু ভেবেছে, অনেক কিছু হয়েছে, আবার অনেক কিছুই হয়নি। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সবকিছু মিলিয়েই জীবন। আমি বরাবরই বলেছি, ভালো নির্মাতা ও ভালো গল্প হলে সব সময় আমাকে তা টানে। চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে অনেক ইতিবাচক ভাইব আশা করি—সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব, ইতিবাচকভাবে কাজ করব।