টিভি নাটকের অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন, তাঁর আজ জন্মদিন। নিজের ব্যক্তিগত নানা অভিজ্ঞতা, কষ্ট আর ইচ্ছার কথা ভাগাভাগি করলেন এই অভিনয়শিল্পী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।
কীভাবে কাটাবেন আজকের দিন?
আমি ভাই বড় করে জন্মদিন উদ্যাপনের মানুষ নই। ছোটবেলায় মা–বাবা বড় করে উদ্যাপন করত। এখন আমি আর সে রকম কিছু করতে চাই না।
কী রকম করে করতে চান তাহলে?
ছাত্রজীবনের বন্ধুরা মিলে হয়তো রেস্টুরেন্টে খাব, এই তো। মৌটুসি, সামিন, প্রভা, নাবিলা। তাদের কেউ ব্যাংকার, কেউ টিচার।
বিনোদন অঙ্গনের কারও সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হবে না?
মিডিয়াতে আমার সে রকম কোনো বন্ধু নেই। এই দিন আমি মিডিয়া থেকে দূরে থাকি। ফেসবুকে মানুষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করি। কারও কারও কল রিসিভ করি, অনেক সময় করতে পারি না। দিনটা পুরোপুরি ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির সঙ্গে কাটাই।
কে প্রথম শুভেচ্ছা জানালেন?
প্রথম মা। মা তো নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে শুভেচ্ছা জানানো শুরু করে। শুভেচ্ছা জানানোর দিক থেকে মা–বাবাই সব সময় এগিয়ে থাকে।
বয়স কত হলো?
১৩ (হাসতে হাসতে)। খাতা-কলম, সার্টিফিকেটের বয়সের কোনো দাম নেই আমার কাছে। মনের বয়সই আসল।
কত বছর বাঁচতে চান?
যত দিন সচল থাকব, তত দিন বাঁচতে চাই। যখন চলতে পারব না, দাঁত পড়ে যাবে বলে খেতে পারব না, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে, তত দিন আসলে বাঁচতে চাই না।
যুক্তরাষ্ট্রে কেমন কাটল?
আমার ছোট বোন যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। সে গ্র্যাজুয়েট হলো, তার কনভোকেশন ছিল বলেই যাওয়া। আমি যখন যাই, তখন ঢাকায় কড়া করোনা বিধিনিষেধ চলছিল। বাইরে বের হতে পারছিলাম না। এবার সেখানে গিয়ে কয়েকটা স্টেট ঘুরে এলাম।
কী দেখলেন?
নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে গিয়ে দেখি কারও মুখে মাস্ক নেই। সবাই পার্টি করছে, মজা করছে। এসব দেখে মনে হলো, এটাই তো জীবন। মনে হলো, প্রাণ ফিরে পেলাম।
ভবিষ্যতে বাইরে চলে যাবেন নাকি?
কখনোই নয়। যদিও প্রতিদিন বাইরে বের হলে ট্রাফিক জ্যামে বসে মনে হয়, এই দেশে আর থাকা যাবে না। অস্থির লাগে, তবু এই দেশে থাকতেই আমার ভালো লাগে। বাইরে গেলে কবে আসব ভেবে অস্থির হয়ে যাই। দেশের ধুলা–বালু–খাবার সবকিছুই ভালো।
স্পেশাল কোনো জন্মদিনের কথা মনে পড়ে?
পড়াশোনা শেষ করে মালয়েশিয়া থেকে ফেরার বছর ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে খেলাম, গান শুনলাম, মজা করলাম। সেবারের জন্মদিনটা কিছুটা স্পেশাল ছিল।
আপনার জীবনের কোনো কষ্ট আছে?
একটাই কষ্ট, ভালো স্ক্রিপ্ট আসে না। অনেক স্ক্রিপ্ট আসে, কিন্তু যে রকম কাজ করতে চাই, সে রকম আসে না। আসে সব ফানি টাইপের স্ক্রিপ্ট। বড়লোকের মেয়ে...
বিয়ে কবে?
করোনার ভয়ে বিয়ে করতে পারছি না। তা ছাড়া আমি এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। বিয়েতে অনেক কাজ। অনেক মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে। দেখা যাবে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে সবাই মাস্ক পরে ঘুরছে, আমাকেও মাস্ক পরতে হবে, মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। দেখা যাবে আমার বিয়েতে এসে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেলেন।
কী ধরনের সিনেমায় কাজ করতে চান?
অনেক দিন আগে সামিয়া জামানের ‘আকাশ কত দূরে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। গতকাল রায়হান রাফি ভাইয়া আমন্ত্রণ জানালেন, স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ দেখতে। এ ছবিতে তমা মির্জা যে রকম চরিত্রে অভিনয় করেছে, আমি আসলে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এই ধরনের চরিত্রে নিজেকে ভাঙতে পারব। সবাই কেবল সাদা, বড়লোকের মেয়ে এ রকম চরিত্রে কাজ করাতে চায়। যেমন ‘সাদা মানুষ’ নাটকে আমি নিজেকে ভাঙতে পেরেছি। সিনেমা আসলে আমি করতেই চাই। বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে যে কত রোমাঞ্চকর লাগে, সেটা যাঁরা নিয়মিত বড় পর্দার জন্য কাজ করেন, তাঁরাই জানেন।
সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাকে চান?
সিয়াম, আরিফিন শুভ। তাদের দুজনের কাজ আমার ভালো লাগে। তাদের সঙ্গে অভিনয় করতে পারলেও ভালো লাগবে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিটা খুব ভালো লেগেছিল। এ রকম ছবিও আমার ভালো লেগেছে।