>শিশু-কিশোরদের কাছে জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন নাটক ‘টিরিগিরি টক্কা’। দুরন্ত টিভিতে নাটকটির দ্বিতীয় মৌসুমের ৫০তম পর্ব প্রচারিত হবে আজ। সেখানে কবি মামা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাত শিমুল। নিজের অভিনয়, কবি মামা চরিত্র ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বললেন তিনি।
কবি মামা চরিত্রটি শিশুদের ভালো লাগার কারণ কী?
যেকোনো ঘটনা ঘটলেই কবি মামা কবিতা লিখে ফেলেন, যার প্রতিটি ঘটনায় শিশুরা বেশ মজা পায়। পাশাপাশি গল্পের ভেতরে যে চরিত্রগুলো আছে, তাদের সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক কবি মামার। অনেক সময় কবি মামা বাচ্চাদের প্রশ্নের সমাধানও করেন ছড়া বলে। তিনি শিশুদের সময় দেন, যা পরিবারে হয়তো অন্য কেউ দেয় না। তাই শিশুদের কাছে মামা একধরনের বন্ধুর মতো হয়ে যান। তাই চরিত্রটি দর্শক শিশু-কিশোরদের কাছে আকর্ষণীয়।
চরিত্রটি নিয়ে কোনো মজার ঘটনা ঘটেছে?
আমি শুটিংয়ে একবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে যাই। রক্ত পরীক্ষা করাব, এমন সময় বাচ্চাসহ মা-বাবা হাজির। তাঁদের ছেলে টিরিগিরি টক্কা দেখে। কবি মামাকে পেয়েছে সে। সেলফি না তুলে ছাড় নেই। অবশেষে হাসপাতালেই অসুস্থ অবস্থায় হাসিমুখে সেলফি তুললাম শিশু ভক্তের সঙ্গে।
এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?
দীপ্ত টিভির একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক মান-অভিমান-এর খবির চরিত্রে অভিনয় করছি। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। চাটামঘর, নীল নির্বাসন, শান্তিপুরে অশান্তির নাম বলা যায়। দুটি সিনেমা ঘণ্টিঘর ও আলগা নোঙর মুক্তির অপেক্ষায়। আগামী মাসে একটি সিনেমার শুটিং শুরু হবে।
নাটকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ভাবনা কী?
অনেক কথা বলার আছে। সংক্ষেপে দুটি কথা বলব। নাটকে দর্শক তাঁর নিজের গল্পটা যেন দেখতে পান। আমরা যেন শুধু দুজনের প্রেমের গল্প নিয়েই না থাকি। পরিবারে আরও নানা গল্প আছে। সেগুলো বলা দরকার। আরেকটি ব্যাপার হলো, নাট্যকার ও পরিচালককে অন্য সব হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বর্তমান সংকটগুলো কেটে যাবে বলে আশা করি।