>আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট মাঠে ক্রিকেট লিগ টি-১০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। আবুধাবি থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আপনার পরিবেশনা কেমন ছিল?
দুবাই ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করেছে। চমৎকার এই আয়োজনে বাঙালি দর্শকদের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশি ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের শিল্পীরাও আমন্ত্রিত ছিলেন। দেশের বাইরে এই ধরনের আয়োজনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারটি বেশ ভালো লাগালো।
জাতীয় চলচ্চিত্রে এবারও সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেলেন। কেমন লাগছে?
পুরস্কার কাজ করার অনুপ্রেরণা বাড়ায়। অভিনয়শিল্পের একজন কর্মী হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার অর্জন করতে পারাটা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি গৌরবের। আমি দর্শকের জন্য অভিনয় করি। দর্শকেরা আমার অভিনয় করার সবচেয়ে বড় শক্তি ও অনুপ্রেরণা। সত্তা ছবিটি মুক্তির সময় দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। গল্প ও গান মুগ্ধ করেছে। এটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
নায়ক হিসেবে সেরা করদাতা হলেন, এটাও তো কম প্রাপ্তি নয়।
সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়ে তো খুবই ভালো লাগছে। মানসিক তৃপ্তি পাচ্ছি। এর আগেও সেরা করদাতা হয়েছি। নিয়মিত কর পরিশোধ করা আমার সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্বও।
শোনা যাচ্ছে ‘বীর’ ছবির কাজ শুরু হবে। কিন্তু কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না।
তিন দিন শুটিংও হয়েছে। বাকি অংশের কাজ বিরতিহীনভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে ছবির শুটিং শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দেশে ফিরে পরিচালকের সঙ্গে বসে বাকি বিষয় চূড়ান্ত করব।
আপনি নিজেও অনেক দিন ছবির শুটিং থেকে দূরে আছেন, কেন?
বীর ছবিতে পরিচালক আমাকে একটু নতুন রূপে উপস্থাপন করতে চান। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করছি। সে জন্যই বেশ কিছুদিন শুটিং থেকে দূরে ছিলাম। একদম কাছের কয়েকজন ছাড়া কারও সঙ্গে দেখাও করিনি। নিয়মিত জিমে সময় দিয়েছি। আর প্রচুর সিনেমা দেখেছি। নতুন কয়েকটি সিনেমার ব্যাপারে ভাবনাও অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। এসব নিয়ে আপাতত কিছুই বলতে চাই না। সময়মতো সবাই দেখতে পাবেন।
আপনার সঙ্গে একটি ছবিতে নার্গিস ফাখরি অভিনয় করবেন, এমন খবর শোনা গিয়েছিল...
এই ছবির ব্যাপারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মস সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁরা ছবিটির প্রাথমিক কাজ অনেক দূর এগিয়েও নিয়েছেন। দেশে ফেরার পর এই ছবি নিয়ে চূড়ান্ত আলাপও হবে।
এ বছরে চলচ্চিত্র নির্মাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত একটা অংশ এসব না ভেবে এই জায়গাকে পুঁজি করে নোংরা রাজনীতি করছে। অঙ্গনটাকে আরও অস্থির করে রাখছে। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য বরাদ্দ করা এফডিসির অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। আগে যেখানে ছবির শুটিং জমজমাট থাকত, এখন তা হয় না। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সমিতির কেউ কেউ এফডিসিকে রাজনীতির ময়দান বানিয়ে ফেলছেন। শিল্পী–প্রযোজক–পরিচালক ও কলাকুশলীতে বিভাজনও তৈরি হয়ে আছে। আমার কথা হচ্ছে, এফডিসিতে কেন রাজনীতি? রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে শিল্প–সংস্কৃতির এই অঙ্গন ছেড়ে অন্য কোথাও যান। এফডিসি হলো সংস্কৃতিচর্চার জায়গা। এখানে নাচ, আবৃত্তি, গান, অভিনয় এসবের চর্চা হবে।