আজ মুক্তি পেয়েছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। তাই নিয়ে ইমতিয়াজ বর্ষণ খুবই ব্যস্ত ছিলেন। এর আগে ‘আলাগা নোঙর’, ‘চন্দ্রাবতীর কথা’য় অভিনয় করলেও বর্ষণের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হতে যাচ্ছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। তাই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণায় থাকার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় তিনি থাকছেন ফেসবুকে। জানতে চাইলাম, সাক্ষাৎকারের জন্য কখন ফোন করব? সময় দিলেন রাত সাড়ে ১০টায়। কিন্তু সে সময় ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে পাওয়া গেল না ইমতিয়াজকে। ইমতিয়াজের নম্বর থেকে ফোন এল রাত ১১টার পর। ফোন ধরতে না পারার জন্য কারণ দেখিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন। শুরু হলো আলাপ।
অল্প খানিকটা সময় মাঝখানে দেয়াল হয়ে আছে। তারপরই মুক্তি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাসে’র। কেমন লাগছে?
খুবই এক্সাইটমেন্ট আর ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।
প্রথম সিনেমা মুক্তির আগ দিয়ে ঘুমিয়ে কী স্বপ্ন দেখছেন আজকাল?
ঘুমানোরই তো সময় পাচ্ছি না। আর খুবই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তাই স্বপ্ন দেখা হয় না।
অয়নের ( ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমায় বর্ষণের চরিত্র) কথা বলেন।
অয়ন খুবই সাধারণ একটা মানুষ। সে বাসে চড়ে, রিক্সায় চড়ে, চা খায়।
আর নীরা (শার্লিন ফারজানার চরিত্রের নাম)?
নীরাও চা খায়, তবে প্রাইভেট কারে চড়ে। বিজ্ঞানমনস্ক। তাই বলে ছবিটাকে ‘সাইফাই’ ভাবার কোনো কারণ নেই।
নীরা আর অয়নের রসায়ন কেমন?
এই সিনেমার গল্পটা খুবই মানবিক। তবে একসময় মানবতা, বিজ্ঞান সব ছাপিয়ে দর্শক জানবেন, সিনেমাটা নীরা আর অয়নের একটা কঠিন প্রেমের গল্প।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শুটিং শুরুর আগে তিন মাস ধরে রিহার্সাল চলেছে। তারপর ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায়, রাস্তায়, জ্যামে, খোলা জায়গায় ঘুরে ঘুরে শুটিং চলেছে। মোটেও সহজ কাজ ছিল না। অভিনয় ছাড়া এই ছবির জন্য ‘প্রথম’ গানটার সুরও আমার করা।
তিনটা কারণ বলেন, যে জন্য দর্শক হলে গিয়ে ছবিটা দেখবেন।
প্রথম কারণ হল, দর্শক ভালো সিনেমা দেখতে চান। এ রকম সিনেমা দেখার ক্ষুধা আছে তাঁদের ভেতর। দ্বিতীয়ত, এই সিনেমার হিরো, গল্প আর নির্মাণ। এই গল্প দর্শকদের স্পর্শ করবে। আর তৃতীয়ত, এই সিনেমায় চমৎকার কিছু গান আছে। দর্শক ইতিমধ্যে গানগুলো ভালোবেসেছেন।
আপনি কেন অভিনেতা হলেন?
আমি চট্টগ্রামের ছেলে। ১৯৯৮ সালের দিকে আমাদের পাড়ার স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে পাড়ায় পাড়ায় নাটক হতো। আমি তখন খুব ছোট, স্কুলে পড়ি। পাড়ার বড় ভাই নাটক করতে নিয়ে গেলেন। তারপর টুকটাক পাড়ার নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ভাইয়েরা বলতেন, ‘এভাবে বল’। বলতাম। তারপর একদিন বড় ভাই নিয়ে গেলেন থিয়েটারে। সেখানে টুকটাক কাজ করতাম। তারপর ঢাকায় এলাম অভিনেতা হতে। এখনো সেই প্রক্রিয়া চলছে।
‘আলাগা নোঙর’, ‘চন্দ্রাবতীর কথা’ সিনেমার কী অবস্থা?
দুটি ছবিরই শুটিং, ডাবিং শেষ। সেন্সরে পাঠানো হয়নি এখনো। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মুক্তি দেওয়া হবে।