>
আজ পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে শহীদুল জহিরের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা’। চিত্রনাট্য শাওন কৈরীর এবং পরিচালনায় শুভ্রা গোস্বামী। এতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ। এ ছাড়া নাটকের শুটিংয়ের জন্য গতকাল নেপাল গেছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
আজ ভালোবাসার প্রদর্শনী। কিন্তু আপনি নেপাল চলে গেছেন। প্রদর্শনীতে থাকাটা জরুরি ছিল না?
কাজটা খুব বাজে হয়েছে। আসলে প্রদর্শনীর সময় এবং শুটিংয়ের তারিখ একই সময়ে হওয়ায় কিছুই করার ছিল না। তাই যেতে পারলাম না।
১৫ মিনিটের ছবি দর্শক কেন দেখবেন?
এটা শহীদুল জহিরের একটা অসাধারণ গল্প অবলম্বনে তৈরি। চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন সদ্য প্রয়াত চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন। এই দুটি কারণেই আমি অভিনয় করেছি। তাঁর মতো মানুষের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগটা মিস করতে চাইনি।
আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কোনো স্মৃতি আছে?
শুটিংয়ে প্রথম খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পরই বুঝলাম, তিনি আধুনিক ও প্রাণবন্ত মানুষ। তিনি নিজের হাতে আমার একটা ছবি তুলে বলেছিলেন, ‘আমি যেদিন থাকব না, সেদিন এটা বাঁধাই করে রাখতে পারবি।’
নেপালে কী কী কাজ হবে?
নেপালে ছয়টা একক নাটক করার জন্য এসেছি।
একজন পরিচালকের সঙ্গে প্রেমের কথা শোনা গিয়েছিল আপনার...
আমরা আসলে ভালো বন্ধু ছিলাম। সেটাই আছি ও থাকব।
উচ্চতা নিয়ে শোনা কোনো মন্তব্য আছে, যা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে?
মন্তব্য না, ঘটনা আছে। উচ্চতার জন্য আমার প্রেম ভেঙেছিল। আমি একটা প্রেম করতাম। ছেলেটা আমার চেয়ে উচ্চতায় ছোট ছিল। সে আমার উচ্চতার দোহাই দিয়ে ব্রেকআপ করেছিল। এটা খুব কষ্ট দিয়েছে।
শেষ তিন প্রশ্ন
নতুন বছরে আপনি কী করবেন না?
আমি ব্যক্তিগত জীবনে আর সহজে আবেগপ্রবণ হব না।
আপনার একটা গোপন তথ্য দিন, যেটা অনেকেই জানে না।
আমি খুব ভালো রান্না করতে পারি।
দেশের বাইরে গেলে যেটা আপনার সঙ্গে থাকে।
মুঠোফোন ও স্পিকার। আমি খুব গান শুনি তো।