ছোট পর্দা থেকে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ধীরে ধীরে বড় পর্দায় নিজের জায়গা বানিয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী মৌনী রায়। ‘কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি’, ‘নাগিন’, ‘নাগিন টু’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। বলিউড অভিষেক হয় অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ‘গোল্ড’ ছবি দিয়ে। সামনে কয়েকটি ছবি আসছে তাঁর। মুম্বাইয়ের সান এন স্যান্ড হোটেলে মৌনী রায় মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলোর।
ছোট পর্দা, না বড় পর্দা—কোনটা বেশি উপভোগ করছেন?
ছোট, বড়, ডিজিটাল—এসব মাধ্যম আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমার কাছে গল্প এবং আমার অভিনীত চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ।
টেলিভিশন থেকে যদি বড় কোনো কাজের প্রস্তাব আসে, তাহলে আবার ফিরে যাবেন?
দেখুন, টেলিভিশন ছাড়িনি তো। তাই ফিরে যাব, এ রকম কোনো ব্যাপার নেই। তবে এই মুহূর্তে আমি ছবির কাজে ব্যস্ত। ‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘মেড ইন চায়না’, ‘বোলে চুড়িয়া’—পরপর অনেক ছবির কাজ আছে। তবে সে রকম কোনো প্রস্তাব এলে নিশ্চয়ই ভেবে দেখব।
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে আপনার চরিত্রটা নেগেটিভ। কোথাও মনে হয়নি আপনি রিস্ক নিচ্ছেন?
না, একদমই নয়। আমি এ ধরনের চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি। একদম অন্য ধারার এক চরিত্র। আমি খুবই খুশি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে। তবে এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।
শুটিং সূত্রে আপনার সঙ্গে এই ছবির পরিচালক আয়ান মুখার্জির এক বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আপনাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে কী বলবেন?
আয়ান আমার হৃদয়ের একটা টুকরা। আমি তাকে খুব ভালোবাসি। মানুষ হিসেবে সে দুর্দান্ত। আর পরিচালক হিসেবেও আয়ান অসম্ভব ভালো। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির ওপর সে পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছে। আমার মনে হয়, খুব কমসংখ্যক পরিচালক এতটা ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে তা করতে পারবেন। আমি চাই ব্রহ্মাস্ত্র ব্লকবাস্টার হিট হোক।
‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’ ছবিতে জন এব্রাহামের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
জন আপাদমস্তক বিনয়ী এক অভিনেতা। খুবই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকেন। অত উচ্চতায় পৌঁছে গিয়ে আজও মাটিতে পা রেখে চলেন। তবে অসম্ভব মজাদার মানুষ। সেটে নানান জোকস বলে মাতিয়ে রাখতেন।
‘মেড ইন চায়না’ ছবিতে রাজকুমার রাওয়ের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছেন। শুনেছি, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শেখা যায়...
রাজকুমার খুবই নিষ্ঠাবান অভিনেতা। সেটে ঢুকে ‘হাই’ বলে সম্বোধন করার আগেই তিনি বলেন লাইন রেডি। আসলে কাজ তাঁর কাছে সবকিছু। আর রাজকুমার অভিনেতা হিসেবে দুর্দান্ত।
অতীতের দিকে তাকালে কী দেখতে পান?
আমার খুব ভালো লাগে পেছন ফিরে তাকাতে। আজ আমি যা কিছু, তা একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মসের নাগিন ধারাবাহিকের জন্য। টেলিভিশনের জন্যই আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি।
টালিউড বা ঢালিউড থেকে ছবির প্রস্তাব এলে করবেন?
আমার কাছে এখন পর্যন্ত কলকাতা বা বাংলাদেশ থেকে ছবির প্রস্তাব আসেনি। আর আমি আগেই বলেছি যে মাধ্যম আমার কাছে বড় ব্যাপার নয়। ছবির গল্প ও চরিত্রকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই। তাই কলকাতা বা বাংলাদেশ থেকে ভালো ছবির প্রস্তাব এলে নিশ্চয়ই করব।