মুক্তি পেয়েছে সাদিয়া নাবিলা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মিশন এক্সট্রিম’। সানি সানোয়ার পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে পুলিশ কর্মকর্তা ইরা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ১০ বছর আগে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে যাওয়া নাবিলা সে দেশের নাগরিকত্বও নিয়েছেন। করোনার কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রথম ছবি মুক্তির সময় বাংলাদেশে থাকতে পারেননি। মুক্তির তিন সপ্তাহের মাথায় প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
কেমন আছেন?
প্রথম বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, দেশে থাকতে পারলাম না, কেমন আর থাকি বলেন। করোনার কারণে ট্রাভেল রেস্ট্রিকশনে আটকে গেছি। আমাদের তো মাত্র ট্রাভেল রেস্ট্রিকশন হালকা করতে শুরু করেছে। ‘মিশন এক্সট্রিম পার্ট টু’ তে অবশ্যই থাকার ইচ্ছা।
প্রথম সিনেমা মুক্তির পর কেমন সাড়া পেলেন?
এককথায় দারুণ। এত এত টেক্সট! ফেসবুকে লেখালেখি। এত ভালোবাসা পাচ্ছি, আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগার ব্যাপার। এ অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। পার্ট ওয়ান দেখে যাঁরা আমাকে এত টেক্সট করছেন তাঁদের বলতে চাই, এটা আমার ইন্ট্রোডাকশন ছিল। পার্ট টুতে সবাই আমাকে ভালোভাবে দেখতে পাবেন। কারণ, ইরার গল্পের শুরু পার্ট ওয়ানে, আর পুরোটাই পার্ট টুতে। সবার তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।
অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি পেয়েছে?
ক্যানবেরায় বন্ধুদের সঙ্গে ছবিটি দেখলাম। এটাও অবশ্য অন্য রকম এক্সপেরিয়েন্স। সবাই সাবটাইটেল দেখে মুভি দেখল, তারপরও এনজয় করল। সবার কাছ যা যা শুনলাম, সবাই পজিটিভ রিভিউ দিয়েছে। সিডনিতে প্রোমোশনালের কাজ ছিল, সেখানেও ছবিটি দেখা হয়েছে। সিডনির দর্শকদের জন্য আমার যাওয়াটা সারপ্রাইজ ছিল।
আপনার পরিবারের সদস্যরা ছবিটি দেখে কী বলেছেন?
আমি তো এখানে ভাইয়ার সঙ্গে থাকি। মা-বাবা তো থাকেন সৈয়দপুরে, তাঁরা সেখানকার সিনেমা হলে দেখেছেন। আমি যেহেতু বাংলাদেশের মেয়ে, একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও সিটিজেন, দুই দেশই আমার, দুই দেশের মানুষের ভালো লেগেছে বলেই ভালো লেগেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় কত বছর ধরে থাকছেন, কী করছেন?
১০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা হচ্ছে। দেশে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে আমি এখানে আসি। এরপর ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরা থেকে ইনফরমেশন টেকনোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন করেছি। এখন ভাইয়ার একটি সংস্থায় আইটি স্পেশালিস্ট এবং অফিস সমন্বয়কের কাজ করছি। পাশাপাশি মডেলিংও করছি।
বিনোদন অঙ্গনে আপনার পরিবারের কেউ যুক্ত ছিলেন?
নাহ্, তবে খালামণিরা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতেন। আমিও ছোটবেলা থেকে নাচগান করতাম। বিনোদন অঙ্গনে যদিও পরিবারের কেউ ছিলেন না, তারপরও আমাদের পরিবারটা সংস্কৃতিপ্রেমী। বাচ্চাকাল থেকে মা-বাবা নাচ ও গানের একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দিলেন, সে হিসেবে বলতে পারি, তাঁদের আগ্রহে বা উৎসাহে আমি বড় হয়েছি। আমার মা-বাবা ভীষণ উদারমনা। তাঁরা সাপোর্ট না করলে মোটেও এগোতে পারতাম না।
নায়িকা হওয়ার আগ্রহ কবে জন্মায়?
চলচ্চিত্র সম্পর্কে যত আইডিয়া টেলিভিশন থেকেই। সিনেমা হোক বা কারও মডেলিং, অনেক ভালো লাগত। মুভি রিলেটেড যেকোনো কিছু আমার ভীষণ পছন্দ ছিল। ছোটবেলায় আম্মুকে বলতাম, বড় হলে নায়িকা হতে চাই। যখন আমি জানতামও না যে নায়িকা বিষয়টা কী। তবে মনের আড়ালে কোনো একটা জায়গায় নায়িকা হওয়ার ইচ্ছাটা ছিল। বিটিভিতে যত সিনেমা দেখানো হতো, সবই দেখতাম। অভিনয়ের প্রতি সেভাবেই হয়তো একটা আগ্রহ তৈরি হয়।
ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়েছেন। এদিকে প্রথম চলচ্চিত্রেও আপনি আলোচিত। সামনের দিকে কী হবে তাহলে?
এখন আমার আগ্রহ বাংলা সিনেমা নিয়েই। আম্মুর সঙ্গে কথা বলছিলাম, আমার যেহেতু যাত্রা শুরু হলো, এরপর যেকোনো কাজের প্রস্তাব এল আর হ্যাঁ বলে দিলাম, বিষয়টি মোটেও তা নয়। এত এত ভালোবাসা। অনেক বেছে বেছে কাজ করতে চাই। আমার কাজ করার ইচ্ছা অবশ্যই। কনটিনিউ করব।