মডেলিংয়ের পাশাপাশি একাধারে মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে নিরন্তর অভিনয় করে যাচ্ছেন প্রিয়াম অর্চি। ভারতের গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর অভিনীত পায়ের তলায় মাটি নাই ছবিটি। ৩১ ডিসেম্বর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মঞ্চে বন্যোথেরিয়াম নাটকে দেখা যাবে তাঁকে। এই নাটক ও নতুন কাজ নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
‘বন্যোথেরিয়াম’ নাটকটি কেমন?
সুকুমার রায়ের ‘হেঁসোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরি’ অবলম্বনে নাটক। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইভান রিয়াজ। এটা বাচ্চাদের নাটক, তারা ভীষণ মজা পাবে নাটকটি দেখে। আমি খুব করে চাই, এটা দেখতে অনেক বাচ্চাকাচ্চা আসুক। নাটকের আগে তাদের জন্য আঁকাআঁকিসহ নানা রকম আনন্দের আয়োজন থাকবে।
হঠাৎ এ নাটক করলেন কেন?
আমি তো থিয়েটারেরই মানুষ। এখন কোনো থিয়েটারের সঙ্গে নেই। কারণ, এটা অনেক কমিটমেন্টের একটা জায়গা। যেমন মঞ্চের অ্যান ইন্সপেক্টর কলস করার সময় দেখলাম, টেলিভিশনের ইচ্ছেডানার শুটিংয়ের শিডিউল মেলানো যাচ্ছিল না। বন্যোথেরিয়াম খুব ইন্টারেস্টিং। সাত দিন কাজ করেছি, তারপর একটা শো করলাম টাঙ্গাইলে।
এখন কিসের শুটিং করছেন?
নতুন একটি সিনেমার শুটিং করেছি। আসিফ ইসলামের ‘নির্বাণ’। টেন পার্সেন্টের মতো কাজ হয়েছে। তারপরই অবশ্য আমাকে গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে হলো। এর মধ্যে ১০ দিন ধারাবাহিক ইচ্ছেডানার সিজন থ্রির শুটিং করতে হলো কিশোরগঞ্জে। শিগগিরই হয়তো টেলিভিশনে দেখানো শুরু হবে এটি। মাঝে শওকত আলীর উপন্যাস অবলম্বনে আফসানা মিমির পরিচালনায় সায়ংকাল নামে একটি ধারাবাহিকেও কাজ করলাম।
ভারতের গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ ছবিটি নিয়ে। প্রতিক্রিয়া কেমন?
প্রচুর দর্শক পেয়েছিলাম, মোটামুটি হলভর্তি দর্শক ছিল। দর্শকদের একটা রিঅ্যাকশন আমাদের ভালো লেগেছে। তাঁরা বারবার বলছিলেন, এত রিয়েলিস্টিক কী করে করা যায়? অভিনয় যেন তাঁদের কাছে বাস্তবের মতো লেগেছে। শোর পর কথা বলার জন্য সবাই পরিচালককে ঘিরে ধরেছিলেন, ব্যাপারটা খুব ভালো লাগল।
এ ছবিতে আপনার ভূমিকা কী?
মোহাম্মদ রাব্বি মৃধা পরিচালিত এ ছবিতে আমি একজন অ্যাম্বুলেন্সচালকের প্রথম স্ত্রী। আমি গ্রামে থাকি, স্বামী ও সতিন থাকে শহরে। ছবির গল্প এর থেকে বেশি বলা বারণ। শুধু বলি, কোমর পর্যন্ত পানিতে শুটিং করতে হয়েছিল।
ক্যারিয়ারের শুরুতে যে ভয় ছিল, তা কি কিছুটা কেটেছে? জার্নিটা কেমন লাগছে?
জার্নিটা অনিশ্চিত রকম সুন্দর। পরের কাজটা মনমতো হবে কি না, কোনটা করব, কোনটা ছাড়ব—পুরো ব্যাপারই সুন্দর। কিছু কাজ আমি করব না সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছি। অনিশ্চয়তা অনুভব করেন মা–বাবা। তাঁরা তো সন্তানের নিশ্চিত জীবন দেখতে চান। তবু ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাঁরা দেন, এটাই আমার জন্য স্বস্তির।