অভিনয়ে নাম লেখালেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ জয়ী শিরিন আক্তার শিলা। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত সিরিজ ষ–এর প্রথম পর্ব এই বিল্ডিং-এ মেয়ে নিষেধ। মডেলিংয়ের পর অভিনয়ে কেমন লেগেছে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানালেন তিনি।
প্রথমবার অভিনয় করে কেমন লাগল?
বেশ ভালো। আমার কিন্তু অভিনয়ের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। নুহাশের মতো এত সাপোর্টিভ ডিরেক্টর বা সোহেল মণ্ডলের মতো আর্টিস্ট ছিলেন, তাঁদের সাপোর্টের কারণেই আমি সুন্দরভাবে শুটিং শেষ করতে পেরেছি।
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হওয়ার এত পরে অভিনয়ে এলেন কেন?
নতুন আর্টিস্ট নিয়ে কাজ করার ভয় ছিল অনেকের। আমিও অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এই সময়ে অভিনয়ের একটা কোর্স করি। কোভিডের সময়ও সবকিছু স্থবির ছিল। মডেলিং থেকে নতুন জায়গায় শিফট করতে ভয় পাচ্ছিলাম। মডেলিং বাদ দিয়ে অভিনয়ে এসে কতটা ভালো করতে পারব, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তাই সবকিছু মিলিয়ে এতটা সময় নেওয়া।
অভিনয়ের কী কোর্স করলেন?
জামিল স্যারের ওয়ার্কশপ করেছি, সাত দিনের। এটা আমাকে অভিনয়শিল্পী হয়ে উঠতে বেশ সহযোগিতা করেছে। যাঁরা অভিনয় করবেন শুধু তারা নন, সাধারণ মানুষও যদি জামিল স্যারের ওয়ার্কশপ করেন, তাঁদের জীবনে সেটা অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অনেক কিছু নতুনভাবে আয়ত্ত করতে শিখেছি, চিন্তা করতে শিখেছি। এই ওয়ার্কশপ ফোকাস ঠিক রাখতে সাহায্য করেছে। নিজেকে চিনতে সাহায্য করেছে—আমি কী চাই, সেটা আর কী। এরপর আমি যদি আবার সুযোগ পাই, আবার জামিল স্যারের ওয়ার্কশপ করব।
আপনার অভিনীত সিরিজের প্রথম পর্ব প্রচারের পর কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার বন্ধুরা বলছিল, তুই এত ভালো অভিনয় করবি বুঝিনি। বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত অনেকে ফোন করে বলেছেন, তোমার অভিনয় ভালো হয়েছে। ‘প্রথম’ হিসেবে এটা তোমার বেস্ট কাজ। আমারও মনে হলো, নিজেকে অন্যভাবে দেখলাম।
অভিনয়ের আদর্শ হিসেবে কাউকে পেলেন?
সবাইকে আমার ভালো লাগে। আমাদের যে শিল্পীরা আছেন, তাঁরা অনেক পরিশ্রম করেন। তাঁদের কাজ দেখতে সব সময় ভালো লাগে। এককভাবে কাউকে আইডলাইজ করি না। কারণ, প্রতিটি মানুষ ভিন্ন। আমার চিন্তাভাবনা আর তাঁদের চিন্তাভাবনায় অনেক পার্থক্য আছে। আমি কখনই নিজেকে তাঁদের জায়গায় দেখতে চাই না। নিজে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই।
শিরিন আক্তার শিলাপর্দায় আপনাকে দেখে পরিবারের সদস্যরা কী বলেছেন?
বিনোদন অঙ্গনে কাজের ক্ষেত্রে আমার মা–বাবা কখনই আমাকে সাপোর্ট করেননি। তবে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ হওয়ার পর তাঁরা গর্ববোধ করেছিলেন। তবে তাঁরা চাননি আমি এই পেশায় থাকি। তাঁদের চাওয়া, মেয়ে পড়াশোনা করে একটা চাকরি করবে, বিয়ে করবে, সংসার করবে। এখনো তাঁরা আমার কাজ মেনে নিতে পারেননি। আমার এই কাজ তাঁরা দেখেনওনি। আমার একটা ভাই আছে, সে ভীষণ উৎসাহ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা আছে, তারা সাপোর্ট করে। আমি অনেক লাকি, অসাধারণ সব বন্ধু পেয়েছি।
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সময় আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আমার পড়া এখনো শেষ হয়নি। করোনার কারণে একটা বড় সেশনজটে পড়েছি। এখনো তৃতীয় বর্ষেই পড়ছি।