আমার বিয়ের জন্য সবার বিয়ে আটকে ছিল

ধন্যবাদ।

খুব দৌড়ের ওপর আছি।

ছোট বোনের বিয়ে। ছোট বোনের বিয়ে তো আমার বিয়ের জন্য আটকে ছিল। তবে শুধু আমার নিজের ছোট বোন না, সব কাজিনের বিয়েও আটকে ছিল। আমার বিয়ের পর সবার বিয়ের জট ছুটছে আরকি (হাসি)।

গত ডিসেম্বরে আমার বিয়ের আগে মা সারাক্ষণই বলত, কখন বিয়ে করবা, কখন বিয়ে করবা। আমি বলতাম, আরে সবাইরে বিয়ে দিয়ে দাও, আমার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। তাদের সময়মতো বিয়ে না করার জন্য কতবার যে গালি খাইছি।

এখন ঢাকায়, জাপানে জামাইয়ের কাছে যাওয়ার কথা রয়েছে। কাল এ্যাম্বাসিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। শেষ করে আবার চট্টগ্রামে চলে যাব।

এ মাসের মাঝামাঝি আমি এনজিওর একটি কাজে বগুড়া গিয়েছিলাম। ওখানে জ্বরে আক্রান্ত হই। দুই দিন প্রচণ্ড জ্বর ছিল। খাইতে পারছিলাম না। চোখ ব্যথা, কাশি ছিল। ভয় ও সন্দেহ থেকে কোভিড টেস্ট করাই। ফল নেগেটিভ আসে, স্বস্তি পাই।

আমি ৩৪ বছরে পা দিলাম। বিয়ে হয়েছে, এখন আর বয়স বলতে সমস্যা কী। তা ছাড়া আমি বয়স লুকানোর পক্ষেও নই।

আমার বয়স কিন্তু ১৮ (হাসি)। ২৪ তো পার হইতে চায়ই না। (দুষ্টুমি করলাম)। আমি আসলে মনের দিক দিয়েও ৩৪, বয়সের দিক দিয়েও ৩৪, ম্যাচিউরিটির দিক দিয়েও ৩৪। সবদিক দিয়ে আমি ৩৪।

আমি বলি, বয়স বাড়া মানে ম্যাচিউরিটি বাড়া। আমি মনে করি, জীবনের প্রতিটা বছরের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। একেকটা বছরের একেকটা সৌন্দর্য। প্রতিটা বছরই আমার কাছে নতুন মনে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকে বলে না আরও ইয়াং হচ্ছি। আমার কাছে ওটা মোটেও কাজ করে না। আমার মনে হয় যে বয়স বাড়ছে, আমি নিজেকে এ বয়সে কীভাবে মেনটেইন করব, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জীবন উপভোগ করার বিষয়। যত দিন বেঁচে থাকব, শুধু উপভোগ করে যাব—সেটা সবকিছুর ব্যাপারে।

আমার কাছে ট্র্যাভেল করাটা সবচেয়ে উপভোগ্য। এটা আমাকে মানসিক প্রশান্তি দেয়। ঘুরতে পারলেই আমি নিজেকে খুব সতেজ মনে করি। শুটিং করলাম পাঁচ দিন, এরপর দুই দিন আমি ঘুরব আর আড্ডা দেব। আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমি একটা ঘণ্টা ঘুরলেও রিফ্রেশ হই, রিচার্জ হই।