আমার আদি বাড়ি সাতক্ষীরায়: অঙ্কিতা

অঙ্কিতা
অঙ্কিতা

ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙা গ্রামের মেয়ে অঙ্কিতা। এখন পড়াশোনায় মনোযোগী, গান নিয়েও আছে পরিকল্পনা। বুধবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা হয় টেলিফোনে। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন।
অভিনন্দন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি কেমন ছিল?
ধন্যবাদ। এটা কীভাবে যে বলি, বুঝতে পারছি না। আমার তো বরাবরই ইচ্ছে প্লে-ব্যাক করার। সারেগামাপাতে আমার নাম যখন ঘোষণা করা হয়, মনে হচ্ছিল, প্লে-ব্যাকের যাত্রায় আরও কয়েকটা ধাপ এগিয়ে গেলাম।

বিজয়ী অঙ্কিতা ও প্রথম দিনের মঞ্চের অঙ্কিতার পার্থক্য কোথায়? 
১১ মাসের জার্নিতে অনেক কিছু শিখেছি। বিচারক ও প্রতিযোগী বন্ধুদের কাছে প্রতিনিয়ত শিখেছি। প্রথম দিনে গাওয়া আর ফাইনালে গাওয়ায় পার্থক্য অনেক।

গান শুরুর গল্প শুনতে চাই। 
মা নাচ অনেক পছন্দ করতেন, তাই জীবনের শুরু নাচ দিয়ে। তিনটি বছর ভরতনাট্যম ও কত্থকের তালিম নিয়েছি। মায়ের সঙ্গে গাইতামও। বাবা শুনে একদিন মাকে বললেন, ওকে গানে ভর্তি করিয়ে দিই, ওর গলায় তো সুর আছে। বাবার ইচ্ছে ছিল, মাকে টেলিভিশনে গাইতে দেখবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আমি যখন গাওয়া শুরু করলাম, মা–বাবা দুজনেরই ইচ্ছা জাগল, মেয়েকে চলচ্চিত্রের গানে শিল্পী হিসেবে দেখবেন। গানের তালিমের শুরুটা মায়ের কাছে। এরপর রাধাপদ পাল ও রাঠজিৎ ভট্টাচার্যের কাছে শিখেছি।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
প্লে-ব্যাকের প্রতিষ্ঠিত গায়িকা হতে চাই। জানি না কতটা এগোতে পারব, হয়তো বড় প্ল্যাটফর্ম পাব না, তবু চেষ্টা চালিয়ে যাব।

বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম কাকে ফোন করেছিলেন?
আমার ঠাম্মাকে (দাদি)। এরপর দাদু–দিদা (নানা–নানি) ও মামা-মামিকে ফোন করেছিলাম।

পড়াশোনার খবর?
গোবরডাঙা ইছাপুর হাইস্কুল থেকে আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেব। সামনে টেস্ট পরীক্ষা। পড়াশোনা নিয়ে একটু ভয়ে আছি।

পরিবারের খবর?
মা–বাবা আর ছোট ভাই নিয়ে আমাদের পরিবার।

এর মধ্যে নাকি বাংলাদেশেও এসেছিলেন?
গ্র্যান্ড ফিনালের শুটিংয়ের পর বাংলাদেশের ফরিদপুরে স্টেজ শো করতে গিয়েছিলাম। অনেক ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে বারবার যেতে চাই, ভালোবাসায় ফিরতে চাই। আমার আদি বাড়ি কিন্তু বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার মাদ্রা গ্রামে। বাবার কাছে শুনেছি, তাঁর জন্মের আগে সবাই ভারতে চলে আসে।

আরও পড়ুন :

অঙ্কিতার চোখ এখন বলিউডে