>কক্সবাজারে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নাচের উৎসব ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল ২০১৯’। ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএ-এপি) বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করেছে। উৎসব নিয়ে কথা বলেন নৃত্যযোগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম, যিনি হিরু নামে বেশি পরিচিত।
উৎসবমঞ্চ হওয়ার কথা ছিল সৈকতে। সেটা কক্স কার্নিভ্যালে হচ্ছে কেন?
প্রথমত, বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে। দ্বিতীয়ত, সৈকতে একটা জুতসই মঞ্চ ও দর্শকদের বসার ব্যবস্থা করতে যে খরচ, সেটা আমরা জোগাড় করতে পারিনি।
এত বড় নাচের উৎসব দেশে সম্ভবত প্রথম। এটি নিয়ে আপনাদের দূরবর্তী কোনো স্বপ্ন আছে?
আমাদের স্বপ্ন, যুগের পর যুগ ধরে বাংলাদেশে এ উৎসব চলুক। এই উৎসবের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নাম অন্যভাবে ছড়িয়ে পড়ুক। দেশের ইতিহাসে এত বড় নাচের মিলনমেলা এটাই প্রথম। পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা না পেলেও প্রচুর সাড়া পেয়েছি আমরা।
তরুণ নৃত্যশিল্পীরা এই মঞ্চকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারে?
তরুণদের জন্য এটা অনেক বড় একটি মঞ্চ। আয়োজনটি নৃত্যযোগের অনেক বড় সার্থকতা। নৃত্যশিল্পী বা কোরিওগ্রাফার হিসেবে বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার বড় সুযোগ পাবেন তাঁরা। অন্যদিকে কক্সবাজারে এ উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে বিপণন করতে পারছি আমরা।
এ আয়োজনের জন্য কৃতিত্ব দেবেন কাকে?
প্রথমত কৃতজ্ঞতা জানাব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন ও আয়োজন সহযোগী মাত্রাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি লুবনা আপার (মারিয়াম) কাছে কৃতজ্ঞ। এর পেছনে তাঁর অনেক শ্রম আছে। এই উৎসবের কৃতিত্ব তাঁর এবং বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পীদের।