সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম টান ও ওয়েব সিরিজ ৯ এপ্রিল–এ অভিনয় করেছেন সোহেল মন্ডল। একের পর এক কাজ দর্শকদের কাছে তাঁকে করে তুলেছে পরিচিত। বিনোদন অঙ্গনে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা কথা বললেন তিনি।
‘টান’ নিয়ে বন্ধুরা কী বলছে?
বেশ তাড়াহুড়া করে কাজটা করেছিলাম। কিন্তু রায়হান রাফি খুব যত্ন করে বানিয়েছেন। আমি, বুবলী ও সিয়াম খুব চেষ্টা করেছি। ছবিটা দেখে বন্ধুবান্ধব, সিনিয়ররা ফোন করছে; বেশির ভাগই প্রশংসা করছে।
‘৯ এপ্রিল’–এ ত্রপা মজুমদারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
তাঁকে প্রথম দেখেছিলাম মঞ্চনাটকে। কথা হয় এই সিরিজের মহড়ার সময়। একজন বড় শিল্পী শট দেওয়ার আগে কীভাবে নিজের প্রস্তুতি নেন, সেটা খুব কাছ থেকে দেখলাম।
একজন তরুণ শিল্পী হিসেবে আপনি ভাগ্যবান। বড় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলেন।
ঠিক বলেছেন। আসলে প্রতিটি সেটেই নতুন কিছু শিখছি। তাঁরা অনেক কিছু শেয়ার করেন, আমার প্রস্তুতির সঙ্গে নানান বিষয় সংযুক্ত করেন। আর তাঁদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতার কারণে আমার কাজও সহজ হয়ে যায়। যেমন একটা ইমোশনাল দৃশ্যে আমার মায়ের ভূমিকায় ত্রপা আপা এমনভাবে কেঁদে ফেললেন যে আমার খুব সহজেই কান্না চলে এসেছিল।
বন্ধুদের মধ্যে আপনার কাজ নিয়ে উৎসাহ কেমন?
ভীষণ। মারিয়া, রিপন, রিমনসহ আরও অনেকে আছে; যারা আমার প্রকৃত সমালোচক। ফোন করে তারা কাজের ভালোমন্দ জানায়।
আপনি নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন। আপনার সংগ্রামের দিন কি তবে শেষ?
পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রিতে কমবেশি বৈষম্য থাকে। আমাদের এখানেও আছে। সে কারণে সংগ্রাম চলমান থাকে। আমাদের এখানে সমস্যা হচ্ছে, কোনো কাস্টিং এজেন্সি নেই। অডিশন দিয়ে যারা কাজ করতে চায়, তাদের সুযোগ নেই। নিজেকেই নিজের পরিচিতি তৈরি করতে হয়। একটা কাজ খুব হিট করলে তখন একজন শিল্পী ডাক পেতে শুরু করে। এটা একটা সমস্যা। আমাদের কিছু কাস্টিং এজেন্সি দরকার।
মঞ্চে কাজ করার সুযোগ পান এখনো?
আমি যে প্রোডাকশনগুলোতে অভিনয় করেছি, সেগুলো মঞ্চস্থ হলে করি। যেমন প্রাচ্যনাটের রাজা এবং অন্যান্য, বনমানুষ, রেপার্টরি দল তাড়ুয়ার মুল্লুক, লেট মি আউট।
এখন আপনি নিচ্ছেন। ৫–১০ বছর পর ইন্ডাস্ট্রিকে কী দেবেন?
আমি এত দূর ভাবতে পারি না। কেবল মাথায় রাখি আজকের কাজটা ভালো করে করতে হবে, তাতে যদি একদিন ভালো কিছু দাঁড়ায়। আমি কেবল একজন ভালো অভিনেতা হয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আপনার কাজের অনুপ্রেরণা কে? প্রেম করছেন?
অনুপ্রেরণা তো থাকেই। কিন্তু এটা এখন বলা যাবে না।