>মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ’ ক্রিকেট। গাজী টিভির স্টুডিও থেকে আবার কখনো মাঠ থেকে সরাসরি উপস্থাপনা করছেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। তাঁর সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তিনি ছিলেন মাঠে। সরাসরি উপস্থাপনা করছিলেন। এর মাঝেই মাঠ থেকে কথা বলেছেন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে অনুষ্ঠান সরাসরি উপস্থাপনা করছেন। কেমন লাগছে?
এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে। এটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে। এই লিগের সব কটি খেলা নিয়ে অনুষ্ঠান স্টুডিও আর মাঠ থেকে উপস্থাপনা করব। এটা আমার জন্য সম্মানের।
আপনি তো এর আগেও মাঠ থেকে উপস্থাপনা করেছেন।
হ্যাঁ, ২০১৮ সাল থেকে বিপিএলের ম্যাচ নিয়ে অনুষ্ঠান স্টুডিও আর মাঠ থেকে সরাসরি উপস্থাপনা করছি।
ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার আগ্রহ হলো কেন?
খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা আগে প্রয়োজন। সেটা আমার মধ্যে সেই ছোটবেলা থেকেই আছে। শুধু ক্রিকেট নয়, ফুটবল খেলার প্রতিও আমার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। তবে ক্রিকেটের প্রতি আবেগ একটু বেশি। আমি যখন ক্রিকেট নিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করি, তখন কিন্তু অনেকই তা ভালোভাবে নেননি। তাঁরা ভেবেছেন, একজন মেয়ের ক্রিকেট নিয়ে আবার কী ধারণা আছে? কিন্তু আমি কারও কথায় কান দিইনি। কাজ করতে থাকি। একসময় স্টুডিও কিংবা মাঠে খেলোয়াড়, টিম ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে যখন ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনাগুলো ভালো করছিলাম, তখন আবার সবাই প্রশংসা শুরু করেন। সেই প্রশংসা আমাকে ক্রিকেট নিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় আরও এগিয়ে দিয়েছে।
খেলা নিয়ে অভিজ্ঞতা কীভাবে হলো?
আমাদের পরিবার খেলাধুলাপ্রিয়। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখছি, বিশ্বকাপ বা যেকোনো খেলার বড় আয়োজন পরিবারের সবাই দল বেঁধে দেখছেন। পরিবার থেকেই আমার রক্তে খেলার প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। আমি উপস্থাপনা করার আগে থেকেই দেশ-বিদেশের বড় ক্রিকেট ম্যাচগুলোর আপডেট রাখতাম, এখনো রাখি।
ক্রিকেট নিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা কোথায় বেশি উপভোগ করেন?
অবশ্যই স্টুডিও এবং মাঠে। তবে মাঠে থেকে সরাসরি উপস্থাপনা করা একটু বেশি রোমাঞ্চকর। মাঠে প্রতি মুহূর্তেই উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা থাকে। দর্শক ও খেলোয়াড়দের সেই উত্তেজনা, উচ্ছ্বাস মাঠ থেকে সরাসরি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। মাঠে উপস্থাপনা বেশি মজার হয়, উপভোগ্য হয়।
এখন মেয়েরাও ভালো ক্রিকেট খেলছেন। আপনার ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছা হয়?
ছোটবেলায় তো খেলতাম। পাড়ায় আমার ভাইয়া আর ভাইয়ার বন্ধুদের সঙ্গে অনেক খেলেছি। ক্রিকেট নিয়ে অনুষ্ঠান যখন উপস্থাপনা করি, তখন যেভাবে খেলা আর দর্শকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাই, মনে হয় যেন আমি নিজেও মাঠে খেলছি। এই জায়গাটা আমার জন্য খুবই ভালো লাগার আর ভালোবাসার।
আপনি ডাক্তার, হাসপাতালে সময় দিতে হয়। পাশাপাশি আছে সংসার। আবার উপস্থাপনা করছেন। কীভাবে সবকিছু সামলান?
সকাল সাতটায় আমার দিন শুরু হয়। একেবারে পরিকল্পনা করে চলি। যেদিন খেলা থাকে, সেদিন হাসপাতালে কাজ একভাবে সাজাই; আর খেলা না থাকলে অন্যভাবে। যেদিন খেলা থাকে না, সেদিন হাসপাতালে সময় দিই। পরিবার থেকে খুব সহযোগিতা পাই। এত কিছু করার পরও আমি নিয়মিত জিমে যাই। আমি সময় নষ্ট করি না। আড্ডা দিই না, পার্টি করি না।
নিয়মিতই উপস্থাপনা করেন, অভিনয় করেন না কেন?
প্রস্তাব আসে, কিন্তু নিয়মিত করি না। সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব পাই সিনেমায়। কিন্তু সময় কই? বছরের দুই ঈদ বা ভালোবাসা দিবসে সময় বের করে দু-একটি নাটকে কাজ করি। একটি নাটকে টানা দু-তিন দিন সময় দিতে হয়। নিয়মিত করা সম্ভব নয়। আমার কাজের ক্ষতি হবে।