তিন বছর পর ঈদে মুক্তি পাচ্ছে বিদ্যা সিনহা মিমের সিনেমা—পরাণ । রায়হান রাফি পরিচালিত ছবিতে অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম। এ ছাড়া ঈদে বেশ কয়েকটি টিভি ফিচার ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। এসব প্রসঙ্গ নিয়ে গতকাল বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এই মডেল–অভিনেত্রী।
অনেক দিন পর ঈদ উৎসবে আপনার কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে...
আমরা যাঁরা সিনেমায় কাজ করি, ঈদ উৎসবে তাঁদের কোনো ছবি মুক্তি পেলে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়। আমার তেমনই লাগছে। পরাণ ছবিটি তৈরি হওয়ার মাঝে কয়েক বছর চলে গেছে, করোনাসহ নানা কারণে মুক্তি পাচ্ছিল না। খারাপ লাগছিল। এখন ঈদে মুক্তির কারণে মনে হচ্ছে আগে মুক্তি না পেয়ে ভালোই হয়েছে। আগের খারাপ লাগাটা পুষিয়ে গেছে। হা হা হা...।
মুক্তির আগেই পরাণ–এর পোস্টার, গান, ট্রেলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রশংসা পাচ্ছে। বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন?
যে দিন থেকে ঈদে পরাণ মুক্তির ঘোষণা এসেছে, সেদিন থেকেই প্রচারে নেমেছি। ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রপত্রিকার অফিসে যাচ্ছি। সত্যি কথা বলতে, ভক্ত–দর্শক, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। সবাই বলছেন, ছবিটি হিট করতে পারে। অনেকে বলছেন আমার সিনেমার ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে পরাণ। কলকাতার অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও জিৎ ছবির ট্রেলার দেখে প্রশংসা করেছেন। ছবিটির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তাঁরা।
গান, ট্রেলার প্রকাশের পর দেশের বাইরের বন্ধুদেরও ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সবার একটাই কথা, বিদেশে বসে ওরা কীভাবে ছবিটি দেখবে। অভিনয় জীবনে মুক্তির আগেই কোনো সিনেমায় এত সাড়া পাইনি।
এ তো গেল ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুদের কথা। ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
শুটিংয়ের সময় ভীষণ কষ্ট করেছি। পরিচালকের চোখে অনন্যা হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। কোনো কোনো দিন ভোর পাঁচটায় শুরু করে পরের দিন ভোর পাঁচটায় শুটিং শেষ করেছি। আমার বিশ্বাস সিনেমা হলে ছবিটি দেখে দর্শকেরা বিমুখ হবেন না।
বিয়ের পর দ্বিতীয় ঈদ। পরিকল্পনা কী?
এবারের সব পরিকল্পনাই তো সিনেমা ঘিরে। ইচ্ছা ছিল পরিবার নিয়ে প্রথম দিনই ছবিটি হলে দেখব। কিন্তু হচ্ছে না। ঈদের দিন পরাণ টিমের সঙ্গে থাকব। ঢাকার যে হলগুলোতে মুক্তি পাচ্ছে, সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা থাকবে। ছবিটির শুটিং হয়েছিল ময়মনসিংহে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সেখানে যাব। ঈদের তৃতীয় দিন সনিসহ দুই পরিবার সবাই মিলে পরাণ দেখব। ছবিটি নিয়ে পরিবারের মানুষও ভীষণ এক্সাইটেড।
ছবির অনন্যাকে কীভাবে বর্ণনা করবেন?
দর্শকের কাছে তাঁকে পাশের বাড়ির মেয়ে বলে মনে হবে। অনেকেই ছবির অনন্যার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারবেন। ওই বয়সের মেয়েরা অনেক সময় না বুঝে বা ভুল বুঝে প্রেমে পড়ে, পরে যা কাল হয়ে দাঁড়ায়। অনন্যা এমনই।
ঈদে টেলিভিশনেও আপনার চারটি ফিচার ফিল্ম প্রচারিত হবে। ঈদে সাধারণত ছোট পর্দায় আপনাকে খুব একটা দেখা যায় না। প্রেক্ষাগৃহ আর টিভির দর্শক ভাগাভাগি হবে না তো?
আমার মনে হয় না। কারণ, ঈদের সিনেমা নিয়ে দর্শকের একটা আলাদা আগ্রহ থাকে। তা ছাড়া পরাণ মুক্তির ব্যাপারটি ঈদের আগে আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিভির কাজগুলো তার আগেই করে ফেলেছি। যদি আরও আগে পরাণ–এর মুক্তি চূড়ান্ত হতো, তাহলে টিভিতে কাজ করতাম না। হয়তো একটা কাজ করতাম, যা প্রতিবছর করি। কারণ, হলে যান না, এমন ছোট পর্দায় আমার কিছু দর্শকও আছেন। তবে টিভিতে ঈদের কাজগুলোতে চমক থাকবে।
কেমন চমক?
কার্নিশ, মনের মানুষ, রিস্কি লাভ ও চেহারা—চারটি ফিচার ফিল্ম করেছি। চারটি চার রকমের। চরিত্রগুলোতেও বৈচিত্র্য আছে। সবগুলোই অভিনয়নির্ভর। ছোট পর্দার দর্শকেরা এ কাজগুলোতে নতুন মিমকে খুঁজে পাবেন।