এখন জায়েদ খান কী করবেন?

জায়েদ খান
ছবি: ফেসবুক থেকে

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে কোনো আইনি বাধা নেই অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের। সকাল থেকেই এই অভিনেত্রী এফডিসিতে শিল্পী সমিতির অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান জানান। এর মধ্যেই এফডিসিতে জোর আলোচনা চলছে, তাহলে এখন জায়েদ খানের কী হবে?

জায়েদ খান কি এখনো লড়ে যাবেন? তাঁর সামনে আর কি সুযোগ আছে পদ ফিরে পাওয়ার। এসব নিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘হাইকোর্টের আগের যে অর্ডার ছিল, সেটা স্টে (স্থগিত) করেছেন। তাঁদের (নিপুণের) আইনজীবী যে আপিল করেছিলেন, সেটা হাইকোর্ট গ্রহণ করেছেন। এখন আবার আপিলের শুনানি হবে। চূড়ান্ত রায় হয়ে গেছে, মামলা ডিসমিস, বিষয়টা এমন নয়। এখনো সুযোগ আছে। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হয়নি। এখন লিভ টু আপিলের সুযোগ রয়েছে।’

জায়েদ খান

এদিকে সকাল থেকে নিপুণ অফিস শুরু করেছেন, এই খবর শুনেছেন জায়েদ খান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে তো আরও আগে থেকেই জোর করে অফিসে ঢুকে দায়িত্ব পালন করেছে। যেখানে এজিএস (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, সেখানে সে প্রায়ই শিল্পীদের অফিসে ঢুকছে। এটাতে তাকে কেউ না করে নাই। কিন্তু আমি তো জোর করে যাব না, কারণ আমি নির্বাচিত। আমি বরাবর বলে আসছি, জোর করে চেয়ার দখল করতে যাব না। মানুষ বুঝুক যে আমি চেয়ারের প্রতি লোভী নই। আমি সত্যের জন্য লড়াই করছি। আমার চূড়ান্ত বিজয় চূড়ান্ত শুনানির মধ্য দিয়ে আসবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।’

জায়েদ খান হাল ছাড়তে রাজি নন। তিনি এর শেষ দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন হাইকোর্ট তাঁর (নিপুণ) আইনজীবীর আপিল গ্রহণ করায় আমার সামনে আর কোনো সুযোগ নেই, এটা মিথ্যা কথা। এখনো আপিলের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শুনানি আছে। এখন আমি আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত। আমি যেহেতু নির্বাচিত, চূড়ান্ত বিজয়টা আমার আসবে।’ আপিলের শুনানি ও পূর্ণাঙ্গ রায় কবে হতে পারে—এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, ‘লিভ টু আপিল থেকে এখন ফাইল করা হবে। তারপর ডেট পড়বে। এটাকে অনেকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন। আমরা এখন পরবর্তী প্রক্রিয়ায় মধ্যে এগোচ্ছি। এখনো পুরো আশাবাদী। আমি সত্যের পক্ষে লড়ে যাব।’

জায়েদ খান

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। এই নায়িকা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনা, কারচুপিসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন। পরে সেই অভিযোগে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তার পর থেকে এই মামলার শুনানি চলছে।

জায়েদ খান

অবশেষে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) মঞ্জুর করেন। আদেশ পেয়ে সকাল থেকেই নিপুণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আজ নিপুণের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। এ ছাড়া পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক খোরশেদ আলম, অভিনেতা মামনুন ইমন, ডি এ তায়েবসহ অনেকে।