কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করার পর ঈদে টিভি নাটকে নাম লেখালেন নাজনীন নীহা। প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘লাভ সেমিস্টার’ নাটকে নজর কেড়েছে তাঁর অভিনয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’।
শোবিজের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ হলো কীভাবে?
২০২০ সালে ফটোশুটের মাধ্যমে শোবিজে আমার যাত্রা শুরু। তিনটি ফটোশুটের পর এসএসসি পরীক্ষা দিই। পরে আলোকচিত্রী রফিকুল ইসলাম রাফ ভাইয়া আমার পোর্টফোলিও করেন। নির্মাতা অমিতাভ রেজার একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রথমবার কাজ করি। এরপর বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্র করি, ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফটোশুট করি।
আর নাটক?
আমার ফুফাতো ভাই মেজবাহ উদ্দিনের মাধ্যমে বিনোদনজগতে এসেছি। ভাইয়ার ওপর আমার পরিবার খুব ভরসা রাখেন। তিনি আমাকে নিয়মিত দিকনির্দেশনা দেন। নাটকের জন্য প্রবীর ভাইয়া একজনকে খুঁজছিলেন। সেটা জেনে মেজবাহ ভাইয়া, হারিস ভাইয়া, তপু খান ভাইয়া, ইমরাউল রাফাত ভাইয়া আমাকে রেফার করেছেন। স্ক্রিন টেস্ট দিয়ে কাজের সুযোগ পাই। আগেও অবশ্য বেশ কয়েকটি সিনেমা, নাটকের প্রস্তাব পেয়েছি। তবে হুট করে কোনো কাজ করতে চাইনি। নিজেকে প্রস্তুত করতে চেয়েছি।
কীভাবে প্রস্তুত করলেন?
অভিনয় শেখার জন্য কোনো কোর্স করা হয়নি। নিজে নিজে অভিনয় চর্চার চেষ্টা করেছি। নাটক, সিনেমা দেখেছি। আমি তখন খুব একটা এক্সপেশন দিতে পারতাম। এখনো যে অনেক পারি, তা নয়। তবে আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি ঘটেছে।
প্রথম অভিনয়। অভিজ্ঞতা কেমন?
শুরুতে একটু ভয় লাগছিল। কিন্তু প্রবীর ভাইয়া সহযোগিতা করেছেন। বৃষ্টির দৃশ্য দিয়ে আমার দৃশ্যধারণ শুরু হয়। সেদিন জোভান ভাইয়ার শুটিং ছিল। আমাকে পরিচালক তাঁর শুট দেখাচ্ছিলেন, যাতে গল্পে ঢুকতে পারি। দৃশ্যধারণ শুরুর আগে চার-পাঁচ দিন মহড়া করিয়েছেন তিনি। আর জোভান ভাইয়া সহশিল্পী হিসেবে অনেক সাপোর্টিভ।
দর্শক হিসেবে নীহার অভিনয় আপনার কেমন লেগেছে?
আমি ভেবেছিলাম, প্রথম কাজ, হয়তো খারাপ হবে। কিন্তু ভালো হয়েছে। তবে ইমোশনাল দৃশ্যগুলোতে আরেকটু উন্নতি করতে হবে। ভয়েসওভারে মনোযোগ দিতে হবে। আমি অনেক আস্তে কথা বলি, একটু তাড়াতাড়ি বলার চর্চা করছি।
নাটকটি প্রচারে আসার পর নতুন প্রস্তাব পেয়েছেন?
সিনেমা, ওয়েব সিরিজ ও নাটকের প্রস্তাব পেয়েছি। আমি একটু আস্তেধীরে কাজ করতে চাই। এখন রোমান্টিক গল্পে কাজ করতে চাই। আরও খানিকটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ভিন্নধর্মী চরিত্রে কাজ করতে চাই।
ফেসবুকে দেখলাম, অনেকে অভিনেত্রী তটিনীর সঙ্গে আপনার চেহারার মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
প্রত্যেক মানুষই আলাদা। কিন্তু কিছু কিছু সময় আমাদের কিছু বিষয় মিলে যায়। প্রথমবার তটিনী আপুর ছবি দেখে মনে হয়েছিল, আপুর হাসির সঙ্গে আমার হাসির একটু মিল আছে। অনেকেই এটা বলেন। তটিনী আপুকে আমার খুব ভালো লাগে, তিনি অনেক সুন্দর।
অভিনয়ে কাকে অনুসরণ করেন?
মেহজাবীন আপুকে অনেক পছন্দ করি। আপুর হাসি, অভিনয়—ছোটবেলা থেকেই ফলো করতাম। অপূর্ব ভাইয়া ও আফরান নিশোর অভিনয় ভালো লাগে। পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের অভিনয় খুব ভালো লাগে।
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেবেন?
অবশ্যই। অভিনয় আমার প্যাশন ও প্রফেশন—দুটোই। এটার পাশাপাশি ব্যবসা করব।
অভিনয়ে আপনার লক্ষ্য কী?
সবাই যেন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে চেনেন। আমি ভালো কাজ করতে চাই।
আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?
আমার জন্ম ঢাকার উত্তরায়, ইউনাইটেড কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছি।