নাট্যশিল্পীদের অধিকার বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু করেছে নতুন সংগঠন থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হয় সংঠনটির। এর উদ্যোক্তারা জানান, নাট্যশিল্পীদের নিজস্ব অধিকার, স্বার্থ ও দাবি আদায় এবং তাঁদের শৈল্পিক উৎকর্ষ উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করবে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উদ্যোক্তা আজাদ আবুল কালাম, ফয়েজ জহির, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, আসাদুল ইসলাম, শামীম সাগর, কাজী রোকসানা রুমা, রেজা আরিফ ও সাইফ সুমন। প্রথমেই সংঠনটির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন, যেখানে উঠে আসে সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এরপর সংবাদমাধ্যমসহ আগত নাট্যকর্মীদের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন এর অন্যতম উদ্যোক্তা আজাদ আবুল কালাম। সেখানে ঢাকা মহানগরের সক্রিয় নাট্যশিল্পীদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক গড়ে তোলার স্বপ্নেই সংগঠনটির জন্ম বলে জানান তিনি।
আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘সারা দেশেই নাট্যশিল্পীদের একই অবস্থা। হয়তো ঢাকার শিল্পীরা একটু সুযোগ–সুবিধা বেশি পান, তবে সামগ্রিক চিত্রে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। সবখানেই নাট্যশিল্পীরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তবে নাট্যশিল্পীদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অঞ্চলভেদে স্বতন্ত্র। তাই আমরা মনে করি, জাতীয় পর্যায়ে নয়, বরং নাট্যশিল্পীদের স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা যারা ঢাকায় কাজ করি, এমন কয়েকজন একসঙ্গে বসে ঢাকা মহানগরীর থিয়েটারচর্চায় যুক্ত নাট্যশিল্পীদের প্রতিনিধিত্বকারী এই প্ল্যাটফর্ম গড়ার উদ্যোগ নিই।’
আজাদ আবুল কালাম আরও বলেন, ‘আমরা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে চাই। আশা রাখি ঢাকার মতো, রাজশাহী কিংবা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য জায়গার নাট্যশিল্পীরাও এক হবেন। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন।’
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করার কথা জানায় থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড)। সেগুলো হচ্ছে ঢাকা মহানগরে সক্রিয় নাট্যচর্চায় মঞ্চে বা মঞ্চের নেপথ্যে যুক্ত নাট্যশিল্পীদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক গড়ে তোলা, সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করা, তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করা, অসচ্ছল বা অসুস্থ সদস্যদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করা, ক্যাফে ও লাইব্রেরি সুবিধাসহ থিয়েটার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা, থিয়েটারকে পেশা হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, থিয়েটার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা, নাট্যশিল্পীদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার আয়োজন করা এবং দেশি-বিদেশি নাট্যশিল্পীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।