ইসলাম উদ্দিন পালাকার
ইসলাম উদ্দিন পালাকার

ইসলাম উদ্দিন পালাকারের ‘উথুলা সুন্দরী’-তে মুগ্ধ দর্শক

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পালা ‘উথুলা সুন্দরী’ নিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজির হলেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার। কোক স্টুডিও বাংলায় ‘দেওরা’ গান পরিবেশন করে পরিচিতি পেয়েছেন এই পালাকার।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে ‘একুশের সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৪’-এর উদ্বোধনী আয়োজনে পালাটি পরিবেশন করেন ইসলাম উদ্দিন। আট দিনব্যাপী এই উৎসব যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন।
এতে ‘উথুলা সুন্দরী’ পালাটি উপভোগ করেছেন উপস্থিত দর্শকেরা। পালাশিল্পীর ভাষ্য, এক শ থেকে দেড় শ বছরের পুরোনো এই পালা মূলত প্রেমের কাহিনি। এক কাল্পনিক চরিত্রের গল্প ধরেন পালাকার।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি চন্দন রেজা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
আজ শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে উৎসবটি চলবে।

একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করেন

উদ্বোধনী আয়োজনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল শিশু-কিশোর সংগীত দল। এরপর লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ‘বীর পুরুষ’ নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির শিশু নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন সোমা গিরি।
এরপর ‘ইতিহাস জানো তুমি, আমরা পরাজিত’ গানে নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নৃত্যালয়, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক ওয়ার্দা রিহাব। এরপর লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনা এবং জয়দীপ পালিতের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় শিশু নৃত্য ‘চলো বাংলাদেশ’। পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদল। এরপর নৃত্যলোক নৃত্যদল পরিবেশন করে ‘একুশ জাগরণ’।

নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন। এরপর ধৃতি নৃত্যালয় নৃত্যদল দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশন করে ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ’। নৃত্য পরিচালনা করেন ওয়ার্দা রিহাব। এরপর নৃত্যলোক নৃত্যদল পরিবেশন করে ‘ও পৃথিবী এবার এসো’। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।

এরপর আবার নৃত্য ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল শিশু-কিশোর সংগীত দল। একক সংগীত ‘অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে’ ও ‘মাগো ভাবনা কেন’ পরিবেশন করেন সোহানুর রহমান। হিমাদ্রি রায় পরিবেশন করেন একক সংগীত ‘মাগো ধন্য হলো জীবন’ ও ‘ভেবো না গো মা’। এরপর ধারাবাহিক আয়োজনে পরিবেশিত হয় নৃত্য ‘বাংলার ধ্রুবতারা’। নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল।

দলীয় নৃত্য পরিবেশনা

এরপর পরিবেশিত হয় সংগীত। একক সংগীত পরিবেশন করেন বর্ণালী সরকার এবং অন্তরা পরিবেশন করেন একক সংগীত ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি’ ও ‘সেই রেললাইনের ধারে’। এরপর লিয়াকত আলীর পরিকল্পনায় ‘আজ যত যুদ্ধবাজ’ নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন মেহরাজ হক তুষার। সহযোগিতায় ছিলেন এস কে জাহিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ বিপ্লব ও তামান্না তিথি।