ফেনী থেকে বাবার হাত ধরে ঢাকায় প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছে রাফিয়া। পুরো নাম নুরুন নাহার, বয়স চার। রাফিয়া টিকিট পেয়েছে, থাইল্যান্ডের টিকিট। একরত্তি রাফিয়ার হাতে সেই টিকিট তুলে দিলেন চঞ্চল চৌধুরী, মেহজাবীন চৌধুরীদের মতো তারকারা। সঙ্গে তাঁর বাবা নুরুল ইসলামও এসেছিলেন।
৪ বছর বয়সী রাফিয়া থেকে ৮০ বছর বয়সী আলী আহম্মেদ—মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২২–এ তারকা জরিপ পুরস্কারে লটারিতে বিজয়ী পাঠকদের হাতে গতকাল সোমবার পুরস্কার তুলে দিয়েছে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত মঙ্গলবার কুপন ও এসএমএসের ভোট নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে র্যাফল ড্রর আয়োজন করা হয়। লটারির মাধ্যমে প্রতি পর্বে ৩ জন করে ৭ পর্বে মোট ২১ জন; সব পর্বের ভোট নিয়ে মেগা ড্র করে ৩ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বেলা তিনটার আগেই বিজয়ী পাঠকেরা একে একে প্রথম আলো কার্যালয়ে আসতে থাকেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুরস্কার বিতরণী আয়োজন শুরু হয়। সর্বোচ্চ পুরস্কার মেগা ড্রতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে রাফিয়া। মেয়ের নামে কুপনটি পূরণ করে পাঠিয়েছেন নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বললেন, ‘৯ বছর ধরে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের কুপন পূরণ করে পাঠাচ্ছি। একবারও পাইনি। এবার পুরস্কার পেয়ে ৯ বছরের সাধনা পূরণ হলো। প্রথমবারেই প্রথম পুরস্কার পেলাম; আমরা খুবই আনন্দিত।’
রাফিয়ার পাসপোর্ট করিয়ে শিগগিরই সপরিবার থাইল্যান্ডে ঘুরে আসবেন বলে জানান নুরুল। এবারই প্রথমবার দেশের বাইরে যাচ্ছেন তাঁরা।
পুরস্কার নিতে নবাবপুর থেকে এসেছিলেন ৮০ বছর বয়সী আলী আহম্মেদ। তিনি ‘সেরা ৬’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার মোটরবাইক পেয়েছেন। তিনি একটি জুট মিলে কাজ করতেন, প্রায় এক যুগ আগে অবসর নিয়েছেন।
মোটরবাইকের চাবি হাতে তুলে দেওয়ার সময় চঞ্চল চৌধুরী তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, মোটরবাইক চালাতে পারেন? উনি জোরের সঙ্গে বললেন, ‘সেই চালাতে পারি।’
নির্ধারিত পুরস্কারের সঙ্গে মেরিলের তরফ থেকে বিজয়ীদের গিফট হ্যাম্পার দেওয়া হয়। বিজয়ী ২৪ জনের বেশির ভাগই গতকাল পুরস্কার নিয়ে গেছেন। অল্প কয়েকজন আসতে পারেননি। তাঁদেরও পুরস্কার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান। অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী এরফান মৃধা শিবলু, আতিয়া আনিসাসহ আরও অনেকেই ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমী মৌ।