‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটকটিতে দেখা যাবে আর্য মেঘদূতের একক অভিনয়। ছবি : সংগৃহীত
‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটকটিতে দেখা যাবে আর্য মেঘদূতের একক অভিনয়। ছবি : সংগৃহীত

দিল্লিতে যাওয়ার আগে ঢাকায় উৎসব

ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা আয়োজিত ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’-এর ২৩তম আসর শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। নাট্যসমালোচকেরা মনে করেন, এত বড় নাট্য উৎসব শুধু ভারতে নয়, এশিয়া মহাদেশেই আর নেই। এমন উৎসবে যোগদান ও পারফর্ম করার জন্য যেকোনো নাট্যদলই যে মুখিয়ে থাকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এবারের উৎসবে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৫টি দল যোগ দিচ্ছে। এ মহোৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দলের অংশগ্রহণে আজ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁচ দিনব্যাপী শুরু হচ্ছে ‘ভাষার সঙ্গ, নাট্যরঙ্গ বাংলাদেশ উৎসব’।

উৎসবে মঞ্চস্থ হবে ম্যাড থেটারের ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’, থিয়েটার ফ্যাক্টরির ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’, নাট্যম রিপার্টরির ‘দমের মাদার’, বটতলার ‘খনা’ ও স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’। শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।

আজ উদ্বোধনী দিনে মঞ্চায়িত হবে ম্যাড থেটারের নাটক ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’। নাটকটির রচয়িতা আসাদুল ইসলাম, পরিচালনা করেছেন কাজী আনিসুল হক। নাটকটিতে দেখা যাবে আর্য মেঘদূতের একক অভিনয়।

আগামীকাল শুক্রবার রয়েছে ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’; মোহন রাকেশের লেখা নাটকটি অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক।

‘খনা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

উৎসবের নাটকগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দেখা যাবে। কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশগ্রহণের আগে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়ে দেশে এমন নাট্যোৎসব এই প্রথম বলে জানান ম্যাড থেটারের প্রধান আসাদুল ইসলাম।

১ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’-এ ১৫০টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। দিল্লি, মুম্বাই, শ্রীনগরসহ ভারতের ১৪টি শহরের মূল মিলনায়তনগুলোয় ভারত, বাংলাদেশ ছাড়া রাশিয়া ও ইতালির নাটক মঞ্চস্থ হবে। বাংলাদেশের দলগুলো আগামী ৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫টি নাটকের ১০টি প্রদর্শনী করবে। নাটক ছাড়া উৎসবে থাকবে গুজরাত, ওড়িশা, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও কাশ্মীরের শিল্পীদের লোকসংস্কৃতির প্রদর্শনী।