ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টারদা সূর্যসেনকে যে বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল প্রহসনের বিচার, একটি হত্যাকাণ্ড। সেই প্রেক্ষাপট নিয়ে মঞ্চের জন্য নাটক তৈরি করেছে ঢাকা পদাতিক। নাম ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি। আজ সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা পদাতিকের এই নাটকের ১১তম প্রদর্শনী হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে।
‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটকটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাসুম আজিজ। তিনি বললেন, ‘তাদের পথ হয়তো ভুল ছিল, কৌশলে ত্রুটি ছিল, আবেগের বাড়াবাড়ি ছিল। তারপরও সব ছাপিয়ে মনে হয় দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের সমষ্টিগত স্বার্থের প্রয়োজনে নিজের ব্যক্তিগত সুখশান্তি সব হেলায় বিসর্জন দেওয়ার কী এক মহাশক্তি আর অদ্ভুত ক্ষমতা তারা অর্জন করেছিল। গুলির মুখে, ফাঁসির দড়িতে, পুলিশের লাঠির আঘাতে, গোয়েন্দা পুলিশ অফিসের গোপন কুঠুরির নির্মম অত্যাচারে তারা সময়ের আগেই বিদায় নিয়েছে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে। সেই রক্তের, সেই আত্মত্যাগের পথ ধরে ক্রমাগত হাঁটতে হাঁটতে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা। তাদের কথা ভোলা যাবে না।’
‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটকটি নিয়ে মাসুম আজিজ বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে আশ্রয় করেছি কেবল। প্রকৃত অর্থে ইতিহাস বর্ণনা করতে চাইনি। ইতিহাস এসেছে ব্যাখ্যার প্রয়োজনে। মাস্টারদাকে আজকের সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো আমরা জরুরি ভেবেছি। দর্শকদের করেছি বিচারক।’
এই নাটকে রয়েছে সূর্যসেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেনসহ ব্রিটিশ উকিল, বাঙালি উকিলসহ ৪০টি চরিত্র। নাটকে সূর্যসেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী। অন্য চরিত্রগুলোয় অভিনয় করেছেন মাহবুবা হক কুমকুম, আবদুল্লাহ রানা, হাসনা হেনা শিল্পী, মাহাবুবুর রহমান টনি, সাবিহা জামান, শ্যামল হাসান, কাজী আমিনুর, ফিরোজ হোসাইন, আক্তার হোসেন প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আমিনুর রহমান আজম। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আইরিন পারভিন লোপা। আবহসংগীত করেছেন আবুল বাশার সোহেল।