এক বালিকা বন্ধু ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। চিঠি লিখে নিজের নাইট উপাধি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা কবি জানিয়েছিলেন তাকে। বালক-বালিকাদের অসম্ভব ভালোবাসতেন কবিগুরু। ঠিক তেমনি ওয়াহিদুল হক। তাঁর জন্মদিনের আয়োজনে তাই আসে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ।
গতকাল শনিবার ছায়ানট মিলনায়তনে ছিল নালন্দা উৎসব। সংগীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের জন্মদিনে প্রতিবছর এ আয়োজন করে নালন্দা উচ্চবিদ্যারলয়। পরিবেশন করে শিশু, বালক ও বালিকারা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দিতে এসে কবিগুরুকে লেখা চেনা-অচেনা বালক-বালিকাদের দুটো চিঠি ও সেগুলোর জবাব পড়ে শোনান গবেষক মফিদুল হক।
সম্মেলক কণ্ঠে খেয়াল গেয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু করে নালন্দার শিশুরা। ছিল একক মণিপুরি নাচ। চারজোড়া বোষ্টমি নাচ করে ‘এমন মানবজনম আর কি হবে’ গানের সঙ্গে। ছিল ছড়াগান, বৃন্দ কবিতা ও পাঠ। এ ছাড়া ‘স্বাধীনতার গীতরঙ্গ’ প্রযোজনার মাধ্যামে তুলে ধরা হয় বাংলার স্বাধীনতার
ইতিহাস। আর এ অনুষ্ঠান দেখার জন্যে এত দর্শক হয়েছিল যে দুবার একই অনুষ্ঠান করতে হয়েছে শিশুদের। যাঁরা গতকাল দেখতে পারেননি, তাঁদের জন্যআ আজ আবার হবে বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।
ওয়াহিদুল হক ছিলেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। নিজ সংস্কৃতিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন ক্লান্তিহীনভাবে। ছিলেন শিশুদের বন্ধু। আর সে কারণে নালন্দার শিক্ষার্থীরা তাঁকে নিয়েই মেতে উঠল।
গত ১৬ মার্চ ছিল ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন।