প্রতিবছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আইসিসিআর মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসব। এ বছর উৎসবের চতুর্থ আসরটি বাদ দেননি আয়োজক অর্পিতা ভেঙ্কটেশ ও সম্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ‘মালশ্রী’র ফেসবুক পেজ থেকে আন্তর্জাতিক এ উৎসবের পরিবেশনাগুলো দেখা যাবে। ঘর থেকে এ উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পীরা। বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী মৌমিতা জয়া সেই শিল্পীদের অন্যতম।
উৎসবে পরিবেশিত হচ্ছে কথক, ভরতনাট্যম, মণিপুরী, কথাকলি, কুচিপুরি, মোহিনীয়াট্টম, গৌড়ীয় ও রবীন্দ্রনৃত্য। ভারতের স্বনামধন্য শিল্পীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। সুস্মিতা মিশ্র, সুজাতা মহাপাত্র, অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য, মহুয়া মুখোপাধ্যায়, মাধুরী মজুমদার, বিম্বাবতী দেবী, রিনা জানা, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো নৃত্যগুরুরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও নৃত্যভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ৮ জুন অনলাইনে শুরু হয়ে এ উৎসব শেষ হবে ২ জুলাই। প্রতিদিন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটা থেকে এ উৎসব উপভোগ করা যাবে (www.facebook.com/groups/malashree) পেজে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জয়া পরিবেশন করবেন কথক নৃত্য। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের গাওয়া কৃষ্ণর ভজনের সঙ্গে একটি ও বিশ্বজিৎ পালের তবলা বাদনে দেবাশীষ সরকারের গাওয়া কলাবতী তারানার সঙ্গে আরেকটি কোরিওগ্রাফি। কোরিওগ্রাফি দুটি রচনা করেছেন গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য।
মৌমিতা রায় জয়া কথক নাচের শিল্পী। প্রয়াত রাকিবুল আলমের কাছে ৫ বছর বয়সে তাঁর নৃত্যশিক্ষার সূচনা। পরে পলাশ হুদা ও আজাদ রহমানের কাছে নৃত্যশিক্ষা গ্রহণ করেন। পরিণত বয়সে লক্ষ্ণৌর মোনালিসা রায়ের অধীনে আইজিসিআর থেকে কথক নৃত্যের কোর্স সম্পন্ন করেন। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা শেষে ২০১৩ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্ত্রীয় নৃত্যে প্রথম মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। জয়া নিয়মিত ভারত ও বাংলাদেশের নৃত্য উৎসবগুলোতে অংশ নেন।