শিল্পকলা একাডেমি কোভিড-১৯ সংকটকাল শুরুর পর শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনকে সক্রিয় রাখতে ‘আর্ট অ্যাগেইনস্ট করোনা’ শিরোনামে দেশব্যাপী অনলাইনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫০০ নতুন শিল্প নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শিল্পকলা একাডেমির একটি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ৩০০ নাট্যদলের অংশগ্রহণে নির্মিত হচ্ছে ‘স্বল্প ব্যয়ে নতুন স্থানে নতুন নাটক’। যেখানে অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ যুক্ত থাকবেন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ নাট্যশিল্পী।
এ ছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাডেমি দেশের ৬৪ জেলার ৬৫টি বধ্যভূমিতে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নির্মাণ করছে। এসব কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হবেন দেশের প্রায় ১৩ হাজার শিল্পী ও কলাকুশলী। পাশাপাশি থাকবে সারা দেশের ৭৫টি নৃত্যদলের অংশগ্রহণে ৭৫টি নৃত্য প্রযোজনা, যেখানে নির্দেশক, শিল্পীসহ যুক্ত হবেন প্রায় ৮০০ নৃত্যশিল্পী।
৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ ও সারা দেশের ৮২টি যাত্রাদলের অংশগ্রহণে নির্মিত হচ্ছে ৯০টি নতুন যাত্রা প্রযোজনা, যেখানে ১ হাজার ৩০০ যাত্রাশিল্পী ও কলাকুশলী থাকবেন বলে আশা করছেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
তিনি জানান, নতুন পুতুলনাট্য প্রযোজনা নির্মাণের জন্য ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৭টি পুতুলনাট্য দলকে, যার মাধ্যমে তৈরি হবে ২৭টি নতুন পুতুলনাট্য। ৩০টি নৃত্য উপযোগী সংগীত সৃজনের কাজ চলমান রয়েছে, এতে যুক্ত হবেন প্রায় ৩০০ জন সংগীত ও যন্ত্রশিল্পী।
এসব কর্মসূচি বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেক শিল্পী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, এ পরিস্থিতিতে আমরা শিল্পীদের উজ্জীবিত রাখতে চেয়েছি। যার অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই দেশব্যাপী “আর্ট অ্যাগেইনস্ট করোনা” কর্মসূচি পরিচালনা করছি আমরা।’