২০১০ সালের শেষের দিকে মঞ্চে এসেছিল ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকটি। দিনে দিনে ৭৪টি প্রদর্শনী হলো। ৭৫ তম রজনীতে নাটকটি মঞ্চায়নের দ্বারপ্রান্তে। এ নিয়ে তারা আয়োজন করেছে একটি উৎসবের।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হবে ৭৫ তম প্রদর্শনী। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে দেখা যাবে নাটকটি। সেখানে নাটকের অভিনয়শৈলী নিয়ে কথা বলবেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। প্রদর্শনী শেষে থাকবে দর্শকদের সঙ্গে নির্দেশক ও কুশীলবদের কথোপকথন পর্ব। এর আগের দিন গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটির ৭৩ তম ও ৭৪ তম প্রদর্শনী হয়েছে একই হলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বনানীর সাধনা স্টুডিওতে বৈঠকি মেজাজেও আরেকটি প্রদর্শনী ছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্য থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এ ছাড়া নাটকটিতে থাকছেন স্বর্ণালী, অরুণা, শ্যামলী ও আনন্দিতা। সংগীতে শর্মিলা সিনহা। বাদ্যে বিধান চন্দ্র সিংহ, সমরজিৎ সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা।
শকুন্তলা, দ্রৌপদী, দুঃশলা ও জনা—এই চার পৌরাণিক নারীর বিরহ, ঈর্ষা, শান্তি ও বিদ্রোহ তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে; যার মূল কথা উঠে আসে—হিংসা নয়, প্রেমেই মানুষের মুক্তি। মহাভারতের এই চার নারীর স্বামীকে লেখা চিঠিই নাটকের মূল উপজীব্য। নির্দেশক জানান, কাব্যকে অক্ষুণ্ন রেখে শারীরিক ও বাচিক অভিনয়ের মিশেলে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। নাটকটির ভাষা বাংলা। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মণিপুরি বাদ্য, তাল ও নৃত্যভঙ্গি।
বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে বেশ প্রশংসিত হয়েছে নাটকটি। দেশের বাইরেও বেশ কয়েকটি উৎসবে মঞ্চস্থ হয়েছে। অর্জন করেছে চলচ্চিত্রকার আবদুল জব্বার খান স্মৃতিপদক।