দারুণ জমে উঠেছে গঙ্গা–যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ মঞ্চ ও মহিলা সমিতির মিলনায়তনসহ একযোগে ছয় মঞ্চে চলছে ১০ দিনের এই উৎসবটি। উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, শুক্রবার সবগুলো নাটকের প্রদর্শনীতে আসন পূর্ণ হয়েছিল। শুধু জাতীয় নাট্যশালায় ৯৮ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এমনকি সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ১৪ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এটি অভাবনীয়।
গতকালও ভালো সাড়া মিলেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় নাট্যচক্র মঞ্চস্থ করে ভদ্দরনোক নাটকটি। পরীক্ষণ থিয়েটারে ভারতের বেলঘরিয়া রূপতাপস মঞ্চস্থ করে এলা এখন এবং স্টুডিও থিয়েটারে ছিল নাট্য রেপার্টরির ডিয়ার লায়ার। মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ছিল শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের তৃতীয় একজন।
আজ রোববার উৎসবের শেষ দিনে আরণ্যক নাট্যদল ময়ূর সিংহাসন, সময় ভাগের মানুষ এবং থিয়েটার ৫২ নননপুরের মেলায় একজন কমলাসুন্দরী ও একটি বাঘ আসে মঞ্চস্থ করবে। ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে আছে থিয়েট্রনের সিচুয়ানের সুকন্যা। নাটক মঞ্চায়নের আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চে এবং সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন মিলনায়তনে থাকবে কণ্ঠশীলনের আবৃত্তি প্রযোজনা চাঁদ বণিকের পালা এবং আনন্দন–এর সংগীত পরিবেশনা।