‘তৌকীর–বিপাশার বিয়েতে সারা বাংলাদেশ থেকে লোকজন এসেছিল’

টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় জুটি তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত এখন অভিনয়ে অনেকটাই অনিয়িমত। কয়েক বছর ধরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সন্তানেরাও সেখানে পড়াশোনা করছে। তবে মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। এই যেমন কয় দিন আগে এসেছেন তাঁরা। এসেই তৌকীর আহমেদ নতুন নাটকের মহড়া নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে বিপাশাও তাঁর কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে আজ ২৩ জুলাই তাঁরা বিবাহিত জীবনের ২৪ বছর পূর্ণ করলেন। ১৯৯৯ সালের এই দিনে ভালোবেসে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তৌকীর–বিপাশার বিবাহবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য আবুল হায়াতসহ বিনোদন অঙ্গনে আরও অনেকে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক—
বিপাশার বাবা নাট্যজন আবুল হায়াত তাঁদের বিবাহবার্ষিকীতে কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী বিপাশা-তৌকীর। অনন্ত শুভকামনা। আগামী দিনগুলো ভরে উঠুক আনন্দ, সুখ, শান্তি আর সাফল্যে।’
ছবি : আবুল হায়াতের সৌজন্যে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জ মিলনায়তনে ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় তৌকীর ও বিপাশার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বর ও কনে দুই পক্ষ মিলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিপাশা ও তৌকীর—দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান যেহেতু একসঙ্গে হয়েছিল, তাই দুই পরিবার মিলে চার হাজার অতিথিকে দাওয়াত করা হয়।
বাড়তি অতিথি হাজির হতে পারে, তাই এক হাজার জনের বাড়তি খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন আবুল হায়াত। যা ভেবেছিলেন, হয়েছিলও তা–ই। আবুল হায়াতের মতে, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে লোকজন এসেছিল! সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠানে ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ হয়েছিল।’
প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবুল হায়াত জানালেন, ‘দুই হাজার অতিথির খাবার বেঁচে যায়। বাইরের লোকজন যারা, তারা কেউ খেতে আসে নাই, শুধু তৌকীর–বিপাশাকে দেখতে এসেছিল। তখন তো তারা দুজন বাংলাদেশের টপ পপুলার তারকা। সবার ক্রেজ। বোঝাই গেল, কেউ খাবার খেতে আসেনি। আমাদের দাওয়াত দেওয়া কোনো অতিথিও অনুষ্ঠান মিস করেনি, সবাই এসেছিল।’
২৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত দুই সন্তানের বাবা–মা। তাঁদের বড় সন্তান আরীব আহমেদ ও মেয়ে আরীষা আহমেদ নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের একটি স্কুলে পড়ছে।
বিনোদন অঙ্গনের আদর্শ একটি জুটি হিসেবে পরিচিত তৌকীর ও বিপাশা। দাম্পত্য জীবনের সুখে থাকার মূলমন্ত্রের কথা এভাবেই জানিয়েছিলেন তৌকীর, দাম্পত্য জীবনে মান-অভিমান পর্ব থাকবেই। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না যে তাদের কখনো কোনো বিষয়ে দ্বিমত কিংবা ঝগড়া হবে না। বিপাশা এবং আমার সম্পর্কের শুরু বন্ধুত্ব থেকে। এখনো আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু। এমনকি আমাদের সন্তানদের কাছেও আমরা ভালো বন্ধু। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য হয়নি—এটা বলব না। হয়েছে, মিটেও গেছে। ঘরসংসারের বাইরে অভিনয়জীবন, নির্মাণ ও অন্যান্য কাজকর্ম করি। যা নিয়ে কখনো একমত হয়েছি, কখনো মতভেদও হয়েছে। আবার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কখনো কখনো মান-অভিমান হয়েছে। কে আগে বা পরে কার মান ভাঙিয়েছি, এটা বড় বিষয় নয়।’
২৪ বছর আগের এই দিনে এভাবে কনে সেজেছিলেন তখনকার সময়ের নাটকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী বিপাশা হায়াত।
বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদকে এভাবেই বর–কনের সাজে দেখা গেছে।