এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছে শরীফুল রাজ-পরীমনি দম্পতির পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত মঙ্গলবার ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় ফেরেন মা পরীমনি। রাজ্য এখন সুস্থ, হাসছে, খেলছে। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে ১২ জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজ্যকে।
ছেলে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে, খুশি মা পরীমনি। বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমার কলিজাটা এখন সুস্থ। এখন সে হাসছে, খেলছে, দুষ্টুমিতে মেতে উঠছে। বাসায় ফিরে কী যে তার দুষ্টুমি, না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। খেলতে খেলতে কিছুক্ষণ আগে মুখে পানি নিয়ে আমার চুলে মেরে দিয়েছে। আমার চুল ভিজে গেছে। হা হা হা...।’
১০ জুলাই রাজ্যের বয়স ১১ মাস পূর্ণ হয়েছে। পরীমনি তাঁর বাসায় কেক কেটে ছেলের ১১ মাসপূর্তি অনুষ্ঠান করেছেন।
পরীমনি জানান, জুলাইয়ের শুরুর দিক থেকেই অসুস্থের লক্ষণ দেখা যায় রাজ্যের। এ নিয়ে কিছুটা ভয়েও ছিলেন ঢাকাই ছবির নায়িকা। বলেন, ‘মাসের শুরুর দিক থেকেই মাঝেমধ্যে অসুস্থ হচ্ছিল রাজ্য। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে তার শরীরে জ্বরটা বেশি আসে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরীক্ষা করার পর ভাইরাস জ্বর ধরা পড়ে।
পাশাপাশি ডেঙ্গু, করোনা পরীক্ষাও করিয়েছিলাম। সব নেগেটিভ এসেছে। খুবই টেনশনে ছিলাম। এই কয়েক দিন ছেলের পাশে নির্ঘুম রাত কেটেছে আমার। সন্তান অসুস্থ হলে মায়ের যে কী অবস্থা হয়, মা না হলে সে বুঝবে না। প্রায় এক সপ্তাহ আমার কলিজা, আমার জানটার খুব কষ্ট হয়েছে। এত হাসিখুশি রাজ্য অসুখের ভারে কয়েক দিন নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল।’
সন্তান রাজ্য যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, তখন দেশের বাইরে বাবা রাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতে অবস্থান করছেন এই অভিনেতা। দাম্পত্য কলহের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে আলাদা আছেন রাজ ও পরীমনি।
গত ২০ মে পরীমনিকে রেখে নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে দিবাগত রাতে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে রাজ ও তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। এরপর এক-দুবার রাজ্যকে দেখতে পরীর কাছে যান রাজ।
এ দিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শরীফুল রাজ তাঁর ফেসবুক পেজে গাড়ির মধ্যে রাজ্যের ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপ করেছেন। সেখানে রাজ্য গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে খেলছে। সঙ্গে স্ট্যাটাসে রাজ লিখেছেন, ‘খোকা! নিস্তব্ধতায় তোমার শ্বাস আমার অনেক প্রিয়। তোমাকে চুমু খেতে খুব ইচ্ছা করছে, তোমার স্পর্শ আর ঘ্রাণ চোখটা বন্ধ করলেই মগজে টের পাই। বাবা তোমাকে অনেক মিস করছে, অনেক।’
তার আগে গত রোববার রাত ১০টার দিকে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় রাজের। ভারত থেকে তিনি বলেন, ‘রাজ্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মনটা ভালো নেই। দেশের বাইরে আমি। সন্তানের জন্য আমার ভেতরের অবস্থাটা যে কী হচ্ছে, বলে বোঝাতে পারব না।
পরীকে ফোন দিয়েছিলাম। কথা হয়েছে। তাড়াতাড়িই ফিরব, সন্তানকে দেখতে যাব।’ গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে পরীমনির কাছে রাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার ব্যাপারে আমার কাছে কোনো কিছু জানতে চাইবেন না। তার সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে চাই না।’