পরীমনি ও রাজ্যর নতুন ছবি

প্রেক্ষাগৃহে চলছে পরীমনি অভিনীত ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। মুক্তি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছুটে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে ছবিটির ব্যাপারে দর্শকের আগ্রহ বাড়াতে কথা বলছেন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে, সংবাদপত্র কার্যালয়ে। তারই অংশ হিসেবে এসেছিলেন প্রথম আলো কার্যালয়েও। সঙ্গে থাকে ছয় মাস বয়সী সন্তান রাজ্য। প্রথম আলোর ক্যামেরায় সন্তানসহ এভাবেই সামনে ধরা দিলেন তিনি।
গত বছরের শেষ দিকে চিত্রনায়ক স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে আলোচনায় আসেন পরীমনি। কয়েক দিন দুজন দুজনকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের একপর্যায়ে প্রকাশ্যে আসেন পরীমনি। ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের মুক্তি উপলক্ষে শীতের সকালে ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজে হাজির হন তিনি
ছবি : খালেদ সরকার
সিনেমার কাজ পরীমনিকে আলোচনায় রাখলেও সিনেমার বাইরের কাজের কারণে তাঁকে ঘিরে সমালোচনা হয়। তবে এসবকে পাশ কাটিয়ে নিজের মতো করে চলেন পরীমনি। ২১ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমনি জানান, শরীফুল রাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে
চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন, এমনটা কখনো ভাবেননি পরীমনি। প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘নাটকে কাজ করছিলাম। তা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলাম। নাটকে কাজ করতে গিয়ে চম্পা ম্যাডামের সঙ্গে পরিচয় হয়। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে প্রায়ই তিনি আমাকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার কথা বলতেন। অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিতেন। প্রতিনিয়ত তাঁর বলা কথাগুলো আমাকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আমিও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। এভাবেই একদিন পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল আমাকে তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেন।’ ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি মুক্তির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে পরীমনির
অভিষেকের বছরই আলোচনায় উঠে আসেন পরীমনি। সে বছর তাঁর ছয়–ছয়টা ছবি মুক্তি পায়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরীমনি অভিনীত প্রথম ছবি শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তি পায়। একই বছরে তাঁর মুক্তি পাওয়া অন্য ছবিগুলো ছিল ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘পাগলা দিওয়ানা’, এস এ হক অলিকের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’, ওমর ফারুকের ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’, রকিবুল আলম রকিবের ‘নগর মাস্তান’ ও রওশনারা নীপার ‘মহুয়া সুন্দরী’
১১ জানুয়ারি পাঁচ মাস পূর্ণ হয় চিত্রনায়িকা পরীমনির ছেলে রাজ্যর। ছেলের সঙ্গে মা পরীমনি একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে সে খবর জানান তিনি। লিখেছিলেন, ‘বাজানের হাসি! আমাদের ছেলের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো আলহামদুলিল্লাহ।’