গত বৃহস্পতিবার এফডিসিতে এক ইফতার মাহফিলে অংশ নেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা সুচরিতা। সেখানে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার অনেক সফল ছবির জুটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও একজন জুনিয়র নায়িকা নিপুণ আমার এবং রুবেলের মতো একজন শক্তিশালী নায়কের সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করবে, আমি ভাবতেই পারছি না। আমি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছি। আমি কিছু বলতে পারছি না। আমি সরি, সরি, সরি।’
সুচরিতার এমন অভিযোগের ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় নিপুণ আক্তার মুখ খোলেন। বলেন, ‘ আমরা সুচরিতা আপা, রুবেল ভাইয়ের সদস্যপদ বাতিল করব কেন? কোথায় বাতিল করলাম, জানি না তো। তাঁরা তো একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাতিল করলে তা কীভাবে সম্ভব? সুচরিতা আপা কী বলছেন, আমি কোনো কিছুই বুঝতে পারছি না।’
গত বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে সুচরিতার বক্তব্যের পর নিপুণ আরও বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার সুচরিতা আপা আমাকে জুনিয়র নায়িকা, জুনিয়র নায়িকা বলে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। গত পরশু দিনও একইভাবে বললেন। আমি তো তাঁর অনেক জুনিয়রই। এটি নিয়ে বারবার বলার কী আছে? আর জুনিয়ররা তাঁকে কোনো দিন তো অসম্মান করেনি, করবেও না।’
এই নায়িকার কথা, ‘তিনি খালি জুনিয়র নায়িকা বলে বলে কথা বলেন। তিনি সমিতির এই জায়গায় এলেই তো পারেন। সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচন করে দায়িত্ব নিন, আমি নিজেই সরে যাব। এটি আমি সত্যিই মন থেকে চাই। সুচরিতা আপার মতো মানুষ এই জায়গায় এলে সমিতির জন্যই ভালো।’
চলচ্চিত্র পাড়ায় ছড়িয়েছে, নিপুণ আক্তারের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কাউকে পাচ্ছে না। প্রথম দিকে শোনা যাচ্ছিল, সভাপতি পদে নির্বাচন করতে নিপুণ সোহেল রানার কাছে গিয়েছিলেন। রাজি হননি তিনি। সেখান থেকে ফিরে অনন্ত জলিলের কাছে যান। তিনিও রাজি হননি। পরবর্তী সময়ে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের নাম শোনা গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, ‘সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি সোহেল রানা ভাইয়ের কাছে যাইনি। আমি শুধুই দোয়া চাইতে গিয়েছিলাম। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন। আর অনন্ত জলিল ভাই প্রতিবছরই পিকনিকের টাকা দেন। এবারও যখন টাকা আনতে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম, “ভাইয়া আপনি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের যেকোনো ব্যাপারে টাকা দেন। আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে কাজটি আরও ভালোভাবে করতে পারেন।” এতটুকুই। কিন্তু বিষয়টি এত বড় করে ছড়িয়েছে, অবাক হয়েছি।’ অন্যদিকে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের কাছে সভাপতি প্রার্থী হতে কখনোই প্রস্তাব দেননি বলে জানান এই অভিনেত্রী।
প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রায় ঘোষণার পথে। কিন্তু আপনাদের সভাপতিই এখনো ঠিক হয়নি। চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে নিপুণ বলেন, ‘না, কোনো চাপ নেই। গতবার তো শূন্য থেকে এই জায়গায় এসেছি। আর এবার তো আমার তৈরি মাঠ। সভাপতি প্রার্থী ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে এখনই প্রকাশ করব না। তাহলে সেটি নিয়েও রাজনীতি হতে পারে। নির্বাচন এখনো অনেক দেরি। সময়মতো পুরো প্যানেল প্রকাশ করব।’