চিত্রনায়িকা পরীমনির সন্তান রাজ্যের বয়স আজ ১০ এপ্রিল ৮ মাস পূর্ণ হয়েছে। সন্তান জন্মের পর থেকে পরীমনির যাবতীয় ভাবনাচিন্তা রাজ্যকে ঘিরে, যেমনটি ছিল নিজের মধ্যে মাতৃত্বের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর থেকে। মা হওয়ার পর পরীমনিকে তাঁর কাছের মানুষেরা ফোনে সহজে পান না। এটা নিয়ে তাঁদের মন খারাপ হচ্ছে, অভিমানও করছেন। তাঁদের সবার উদ্দেশ্যে পরীমনি জানান, শুধু সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে এখন তিনি ফোন থেকে একেবারে দূরে রেখেছেন নিজেকে। স্মার্টফোন প্রয়োজন যেমন, তেমন একটা আসক্তিও, তাই ছোট্ট বয়সের রাজ্যের যেন স্মার্টফোনে আগ্রহ না বাড়ে, এ জন্য ফোন অন্য ঘরে রাখেন বলে প্রথম আলোকে কয় দিন আগে জানান তিনি।
এদিকে মুঠোফোনে তাৎক্ষণিকভাবে কেন সাড়া দিতে পারছেন, না তা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন পরীমনি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সঙ্গে বা বেডরুমে আমার মোবাইল ফোন রাখি না এখন।
কারণ, রাজ্য মোবাইল ফোন নোটিশ করে নানা কারণেই। এটাতে যাতে ওর আগ্রহ না বাড়ে, তাই তা খুব সচেতনভাবেই এড়িয়ে যেতে হচ্ছে। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় ছাড়া আমি মোবাইল ফোন রাজ্যের সামনে আনি না বললেই চলে। তাই হয়তো সব সময় সব ফোনকল অ্যাটেন্ড করতে পারি না, যখন-তখন। আপনাদের দরকারে আমাকে একটা মেসেজ করে রাখবেন। আমি চেষ্টা করব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কল ব্যাক করার। আশা করব, বিষয়টি অবশ্যই আপনারা কেয়ার করবেন।’
আগামী ২৯ মে মা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাবে পরীমনি অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘মা’। অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরবেন তিনি। তাই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে।
‘মা’ ছবিটি প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘অনেক দিন পর এই সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছি, তাই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে। মনেপ্রাণে চাই, সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শক দেখুক। অনেক পরিশ্রম আর যত্ন নিয়ে কোনো কাজ করার পর এটাই থাকে বড় চাওয়া। তা ছাড়া, এই সিনেমার কথা মনে হলেই আবেগী স্রোতে ভেসে যাই। অন্য রকম টান অনুভব করি।’
‘মা’ ছবিটি জীবনের স্মরণীয় এক অধ্যায় বলে জানান পরীমনি। তিনি বললেন, ‘শুটিং থেকে শুরু করে কাজের প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে আছে। যখন এই সিনেমার শুটিং শুরু করি, তখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ছেলে রাজ্য গর্ভে থাকতেই দিন-রাত শুটিং করেছি। শুটিংয়ের জন্য বনানীর বাসা থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে ভয়ে ভয়ে থাকতাম। ভাবতাম, শুটিংয়ে তো অনেকে আমাকে দেখবে; কিন্তু রাস্তায় যদি কিছু হয়ে যায়, কে টেক কেয়ার করবে? যদিও কখনো পথে সমস্যায় পড়িনি। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখা যেত, একটু পরপরই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বমিও হতো প্রচুর। পরিচালক তো ধরেই নিয়েছিলেন, আমার জন্যই এ সিনেমার কাজ সময়মতো শেষ করা যাবে না। কিন্তু সবার সহযোগিতায় সময়মতো কাজ শেষ করতে পেরেছি। পরিচালককে আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়নি। এখন এ সিনেমা আমার ছেলে রাজ্যকে কোলে নিয়ে দেখব—এটা ভাবতেই অন্য রকম ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছে।’