লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে শুটিং করছেন অভিনেতা মামনুন ইমন। সেখানকার শুটিংয়ের অনুভূতি জানিয়ে এই অভিনেতা জানান, শীতের মধ্যেও ভক্তদের ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি। শুটিংয়ে এসে ভক্তদের আবদারের সঙ্গে নানা কিছু উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে হচ্ছে।
ইমন বলেন, ‘এখানকার বেশির ভাগ মানুষ আগে কোনো নায়ককে সামনাসামনি দেখেননি। যে কারণে আমাকে দেখে সবাই খুবই খুশি। আমি তো সবার সঙ্গে মেশার চেষ্টা করি। সেটা তাঁদের ভালো লেগেছে। তাঁদের সঙ্গে প্রতিদিন অনেক ছবি তুলতে হচ্ছে।
এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে আন্তরিকতা বেড়ে গেছে বলে জানা ইমন। তাঁরা অনেকেই নদীর মাছ নিয়ে আসেন। বিভিন্ন খাবার তো আছে। ‘এত ভালোবাসা আগে খুব একটা পাইনি, ভক্তরা মহিষের দুধের দই নিয়ে বসে থাকেন। ভক্তদের এই ভালোবাসাকে আমি অভিনেতা হিসেবে সৌভাগ্য বলব। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা।’
ছোট এই দ্বীপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ মামনুন ইমন। তাঁর মতে, ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। গোছানো সব জায়গা। সুন্দর সেই গ্রামে অল্প কিছু মানুষের বসতি। এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। ঘরে ঘরে টিভি নেই। এখানে মানুষের জীবনযাপনও তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মহিষের পাল। একসঙ্গে এত মহিষ আগে তেমন দেখেননি ইমন।
ইমন বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুটিং হচ্ছে। ভোর থেকে মানুষ দল বেঁধে শুটিং দেখতে আসেন। সব সময় পাঁচ শতাধিক মানুষ থাকেন। এর মধ্যে অনেকেই আছেন বয়স্ক মানুষ। তাঁরা কখনোই ক্যামেরা দেখেননি। অনেকে আছে জীবনে কখনো ঢাকায় যাননি। তাঁরা যেমন আন্তরিক, তেমনি সহজ–সরল। শুটিং শেষ করতে এলাকার মানুষেরাই আমাদের সব রকম সহায়তা করছেন।’
ইমন আরও জানান, মাসের শুরু থেকেই ‘ময়নার চর’ নামের এই অনুদানের সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এ মাসেই শেষ হবে শুটিং। চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুন নিয়েই এগিয়ে চলে গল্প। এতে ইমনের বিপরীতে রয়েছেন অভিনেত্রী সুষ্মী রহমান। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।