ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে রায়হান রাফীর সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। সাধারণ দর্শক থেকে সমালোচকদের বেশির ভাগই ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তারই প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি ও বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে। চরকি ও আলফা আই-এর যৌথ প্রযোজনার এ সিনেমাটি বঙ্গজ ফিল্মসের আয়োজনে ৭ জুলাই সিডনির তিনটি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো রাজ্য ও টেরিটোরিয়াল শহরে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে। আর নিউজিল্যান্ডে সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৩০ জুলাই।
সেখানকার বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর সিনেমা হলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ‘সুড়ঙ্গ’ দেখানো হবে। ইতিমধ্যে প্রথম দুই সপ্তাহে ৩৭টি প্রদর্শনীর টিকিট ছাড়া হয়েছে, যার মধ্যে ১২টির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। মুক্তির আগেই এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে; অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পাওয়া কোনো বাংলা সিনেমার জন্য যা এই প্রথম।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসী দর্শকেরাও ‘সুড়ঙ্গ’–এর টিকিট কাটছেন। গত শনিবার পরিচালক রায়হান রাফী প্রথম আলোকে জানান, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। ২১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও কানাডায়। এরপর ২৮ জুলাই একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সব কটি শহরে মুক্তি পাবে এই ছবি।
এই অঞ্চলের সব শো-এর বিস্তারিত তথ্য ও টিকিট পাওয়া যাবে www.bongozfilms.com-এ। দর্শক চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিতভাবে নতুন শো–এর ব্যবস্থা করা হবে, যা জানা যাবে ওপরের ওয়েবসাইট থেকে।
উল্লেখ্য, সিনেমা হলের পাশাপাশি সিডনির ক্যাম্পবেলটাউন আর্টস সেন্টারেও ‘সুড়ঙ্গ’-এর চারটি প্রদর্শনী হবে ৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এই ভেন্যুতে প্রথম বাংলা সিনেমা হিসেবে দেখানো হবে ‘সুড়ঙ্গ’।
রাফী বলেন, ‘পৃথিবী এখন গল্পনির্ভর কনটেন্ট এন্টারটেইনিংভাবে উপস্থাপন এবং শিল্পীদের উপযুক্ত অভিনয় দেখতে চায়। যার সব উপকরণ “সুড়ঙ্গ”-এর মধ্যে আছে। ছবিটি নিয়ে দেশের দর্শকের মাতামাতির খবর বাইরের বিভিন্ন দেশের বাঙালিদের কাছে পৌঁছে গেছে।
এ কারণে সেখানকার বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া আফরান নিশোর প্রথম সিনেমা এবং “পরাণ”দেখার পর আমার পরিচালনার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে সেখানকার দর্শকের। এসব মিলিয়ে আগ্রহ একটু বেশি। কারণ, এর আগে “পরাণ” ছবি ওই সব দেশে বসবাসরত বাঙালিদের মন জয় করেছে।’