সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মাসিক সাধারণ সভায় শিল্পীদের পরিচয়পত্র হস্তান্তর করা হয়। চলচ্চিত্র সমিতির অফিস থেকে পরিচয়পত্রগুলো সংগ্রহ করেন শিল্পীরা। বিতরণ করা এসব পরিচয়পত্রে সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। তার পাশেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তারের নাম ও স্বাক্ষর থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সাধারণ সম্পাদক পদটি এখনো কোর্টের রায়ে স্থিতিশীল রয়েছে।
কোন নিয়ম মেনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের নাম রয়েছে, এমনকি কেন তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কার্ড বিতরণ করছেন, সেটা জানতে নিপুণকে তিনবার ফোন করা হয় এবং খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি খুদে বার্তায় বলেন, এখন আমি কথা বলতে পারছি না। একটি মিটিংয়ে আছি। শেষ হলেই ফোন করবেন। কিন্তু তিনি পরে আর ফোন করেননি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক নেতা বলেন, ‘আইনগতভাবে নিপুণের সেখানে থাকার কথা নয়। থাকলেও কার্ড বিতরণ করতে পারেন না। বর্তমানে তিনি যে মিটিং করেছেন, সেখানেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই থেকেছেন। তাঁর বক্তব্যও ছিল তেমন। অথচ আদালতের সর্বশেষ রায়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করার কথা এজিএসের।’
বিতরণ করা কার্ডে নিপুণের নাম দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে নিপুণ আবার কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মামলার এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। যা ইচ্ছা তা–ই করতে পারেন না নিপুণ। আইন মানা একজন শিল্পীর নৈতিক দায়িত্ব।
এবার আইনকে তোয়াক্কা না করে চরম অন্যায় করেছেন নিপুণ। আর এই অন্যায়কে সমর্থন করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব। তিনি নিজেও জানেন পদটি স্থিতিশীল থাকবে। শুধু তা–ই নয়, এর আগে তারা যে মিটিং করেছেন, সেখানে আমাদের কাউকে কিছু জানানো হয়নি। যাঁরা নতুন সদস্য হিসেবে অন্তভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের কার্ড দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়েও মামলা চলমান। এভাবে শিল্পীদের অন্যায় মেনে মেনে নেওয়া যায় না।’
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। এর পর থেকে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।