কলকাতায় শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ নন্দন-১, ২ ও ৩–এ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। আগ্রহী দর্শকেরা বিনা মূল্যে ছবিগুলো দেখতে পারছেন।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে দেখানো হয় বাংলাদেশের পাঁচটি চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য আজ শনিবার দুপুর থেকে নন্দন ও রবীন্দ্রসদন চত্বরে ভিড় জমেছিল। কলকাতার সিনেমাপ্রেমীরা বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য লম্বা লাইন দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ঢোকেন।
সন্ধ্যায় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ নন্দনে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র উৎসব আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের চলচ্চিত্রকে আরও সমৃদ্ধি করবে। দুই দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে নতুন এক সেতু রচনা করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউড সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, কলকাতার অভিনয়শিল্পী অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে বাংলাদেশের ৩৭টি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘গুণিন’, ‘গলুই’, ‘হৃদিতা’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘কালবেলা’, ‘চন্দ্রাবতী কথা’, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘নোনাজলের কাব্য’, ‘রাতজাগা ফুল’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘গোর’, ‘গণ্ডি’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’, ‘শাটল ট্রেন’, ‘মনের মত মানুষ পাইলাম না’, ‘ন ডরাই’, ‘কমলা রকেট’, ‘গহীন বালুচর’ ও ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হচ্ছে চারটি প্রামাণ্যচিত্রও। এ ছাড়া আরও দেখানো হবে স্বল্পদৈর্ঘ্যে ছবি ‘ধর’, ‘ময়না’, ‘ট্রানজিট’, ‘কোথায় পাবো তারে’, ‘ফেরা’, ‘নারী জীবন’, ‘কাগজ খেলা’ ও ‘আড়ং’।