এই ঈদে ঢালিউডে রেকর্ডসংখ্যক ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে শাকিব খান অভিনীত হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’ ছবিটিও। মুক্তির পর থেকে দর্শকের কাছে বেশ আলোচনায় আছে ছবিটি।
অতিথি হিসেবে ছবিটির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহিও। তবে নায়িকা হিসেবে নয়, শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে। ৬৫ বছর বয়সী মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঢাকাই ছবির এই তারকা।
সে সময় মাহিকে নিয়ে এই চরিত্রের শুটিং অনেকটা গোপনে করা হয়। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে তখন কেউ মুখ খোলেননি। তবে ছবিটি মুক্তির আগেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন দর্শকেরা। ছবি মুক্তির পর মাহির চরিত্রটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। কেউ বলছেন বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রে মাহি ভালোই করেছেন। তবে মেকআপটা আরেকটু ভালো হতে পারত। আবার কেউ কেউ বলছেন নায়িকা মাহিকে এভাবে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে মাহি বলেন, ‘আমি গতানুগতিক থেকে একটু বের হতে চাই। আমি যুগের সঙ্গে চলতে চাই। বলিউডে দীপিকারা যদি মায়ের চরিত্র করতে পারে, তাহলে আমি করলে সমস্যা কোথায়? আমার কাছে মনে হয় হিমেল আশরাফ পরিচালক হিসেবে নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করেছেন। তিনি আমাকে যখন চিন্তা করেছেন, আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে ওইভাবেই উপস্থাপন করবেন। তাই কাজটি করেছি। তা ছাড়া ছবিটির প্রযোজক আরশাদ আদনান আমাকে কাজটি করার জন্য বলেছেন, তাই করেছি।’
মুক্তির পর ছবিটি এখনো দেখা হয়নি মাহির। ঈদ করতে পরিবারের সঙ্গে এখনো রাজশাহীতে আছেন এই নায়িকা। দু-এক দিনের মধ্যেই ঢাকা ফিরবেন। ফিরেই ছবিটি দেখবেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরিত্রটি নিয়ে বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছে বলে জানান এই অভিনেত্রী।
রাজশাহী থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে অনেকেই আমাকে নিয়ে রিভিউ দিয়েছেন, অনেকেই তো দেখছি প্রশংসা করছেন। দু-একজন মেকআপের ব্যাপারে কথা বলেছেন। কিন্তু শুটিংয়ের সময় মেকআপ নিয়ে আমার কাছে সমস্যা মনে হয়নি।’
জানা গেছে, মাহিকে নিয়ে শুটিং হয় রাঙামাটির সাজেকের লোকেশনে। শাকিবের ৬৫ বছরের মায়ের চরিত্রে মাহিকে তৈরি করতে ভারত থেকে মেকআপশিল্পীকে আনা হয়েছিল। এ ব্যাপারে মাহি বলেন, ‘মেকআপ নিতে আড়াই ঘণ্টা লাগত, তুলতেও আড়াই ঘণ্টা। উপযুক্তভাবেই মেকআপ করা হয়েছিল।’
বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রটি করতে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে মাহির। তিনি বলেন, ‘ছবিতে সন্তানের সঙ্গে বৃদ্ধ মায়ের কথোপকথনের জায়গাটা খুবই আবেগময়। চরিত্রটি করার সময় আমার সন্তান ফারিশকেই কল্পনায় রেখেছি। সন্তানের প্রতি মায়ের যে আবেগ, আকুতি থাকে তা ফারিশকেই মনের সামনে ধরেছিলাম। ফলে সহজেই চরিত্রটি তুলতে পেরেছি।’