নওশীনের সেলফিতে ফারহানা নিশো
নওশীনের সেলফিতে ফারহানা নিশো

নিউইয়র্কে বন্ধুর দেখা পেয়ে কাঁদলেন নওশীন

একসময়ের পরিচিত উপস্থাপক, মডেল ও অভিনয়শিল্পী নওশীন এখন পরিবারসহ স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন। সেখানকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। জীবন বাস্তবতায় দেশে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ সম্ভব হয় না। ফেসবুকের মাধ্যমে একটা যোগাযোগ থাকলেও তাতে কি আর মন ভরে। তাই উপস্থাপক ও বন্ধু ফারহানা নিশোর নিউইয়র্কে যাওয়ার খবর শুনে দেখা করার জন্য উদ্‌গ্রীব ছিলেন। ব্যস্ততার মধ্যেও উপায় খুঁজছিলেন। কোনোভাবেই যেন সময় বের করা হচ্ছিল না। অবশেষে গতকাল ফেরার পথে তাঁদের দেখা হয়। মাত্র কয়েক মিনিটের দেখা হতেই তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন।

নওশীনের চেয়ে বয়সে বড় ফারহানা নিশো। কিন্তু উপস্থাপক–জীবন তাঁদের দুজনকে এক করেছে। একটা সময় পর তাঁরা চমৎকার বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর দুজন দুজনকে নিজেদের মধ্যকার সুখ–দুঃখের কথা ভাগাভাগি করতেন। এক দশক ধরে নওশীন নিউইয়র্কে থাকেন।

ফারহানা নিশো l ছবি: প্রথম আলো

মাঝেমধ্যে ঢাকায় এলেও নিশো–নওশীনের দেখা হতো না। এবার মা-বাবাসহ দিন দশেকের জন্য ফারহানা নিশো তাঁর প্রয়োজনীয় কাজে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এর মধ্যে তাঁদের কথা হয়, দেখা করা নিয়ে পরিকল্পনাও করেন। নিশো বাবা–মাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন নায়াগ্রা।

এদিকে নওশীনও তাঁর কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ভেবেছিলেন আস্তেধীরে দেখা করবেন। কিন্তু গতকাল সকালে হঠাৎ জানতে পারেন, রাতেই জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ফেরার উড়োজাহাজে চড়তে হবে নিশোকে।

নওশীন

তাই তড়িঘড়ি করে সময় বের করে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে পড়েন। তাড়াহুড়ার কারণে মাত্র কয়েক মিনিট আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয় তাঁদের। এরপর বিমানবন্দরের উদ্দেশে ফারহানা নিশোকে বিদায় দিয়ে নওশীন তাঁর গন্তব্যে ফিরে যান।

দুজনের দেখা করার মুহূর্তটা ধরে রাখতে সেলফি তোলেন। সেই সেলফি নওশীন তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অনেক বছর তোমাকে দেখে খুবই ভালো লাগল, একই সঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়েছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে অনেক মিস করব সুন্দরী বান্ধবী। ভ্রমণ নিরাপদ হোক।’ কথা হয় নওশীনের সঙ্গে।

নওশীন ও হিল্লোল

তিনি বললেন, ‘নিশো আমাকে দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছে। ওর কান্না দেখে আমিও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। কেঁদে ফেলেছি। বিষয়টা এমন না যে দেশে আমরা খুব দেখা করতাম। কিন্তু একটা আত্মার টান অনুভব করতাম। তাড়াহুড়ার কারণে মাত্র ৭–৮ মিনিটের আড্ডা হয়েছে।’

দেখা হোক বা না হোক, যত দূরেই থাকা হোক, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর একটা আত্মার টান সব সময়ই থাকে। অনেক দিন, অনেক বছর পর দেখা হলে তখন এটা টের পাওয়া যায়। কথায় কথায় নওশীন যেন তা–ই মনে করিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, ‘আমাদের কত স্মৃতি। দিনের পর দিন কত আলাপ। রাতবিরাতে আমাদের নানান বিষয়ে আলাপ হতো, যা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করা হতো না।’ ফারহানা নিশোও বললেন, ‘বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হওয়ার অনুভূতি বরাবরই অন্য রকম; তা শুধু বন্ধুরাই উপলব্ধি করতে পারে। তাড়াহুড়ার কারণে অল্প সময়ের দেখা হওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের আর আবেগের ছিল।’