কদিন ধরে ফেসবুকে ফুলসহ স্থিরচিত্র পোস্ট করছেন ঢালিউডের একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। কথা বলছেন ফুল নিয়েও। এর মধ্যে প্রথম আলোকে জানালেন, ফুল নিয়ে অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটেছে তাঁর জীবনে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসায় পাঁচ বছর ধরে কেউ একজন তাঁর বাড়ির দরজায় গোলাপ ফুল দিয়ে যাচ্ছেন। সেই ফুল সযতনে সংগ্রহেও রেখেছেন শাবনূর। কে সে মানুষ?
নব্বই দশকে এশতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক শাবনূরের। এরপর কেটে যায় লম্বা সময়। ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা অভিনয় করেছেন। এরপর চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। নব্বই দশকের দাপুটে এই নায়িকা এক দশকের বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। নির্দিষ্ট সময় পরপর দেশে আসেন।
ফুল নিয়ে অদ্ভুত ঘটনার প্রসঙ্গ জানতে চাইলে শাবনূর বললেন, ‘ফুল নিয়ে সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটেছে সিডনিতে। পাঁচ বছর ধরে প্রায় দিনই একটা ছেলে বাসার সামনে গোলাপ ফুল দিয়ে যায়। সে আমার মারাত্মক লেভেলের ভক্ত, এখন অনেক পরিচিত আমরা। নামটা বলতে চাই না। যখনই সে আমার বাসার এদিক দিয়ে যায়, গোলাপ ফুল রেখে যায় দরজার কাছে। এটা আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় দিনই বাসার গেট খুলে দেখি, বাইরে একটা গোলাপ ফুল। তখন বুঝি যে সেই ছেলেই দিয়েছে। গোলাপটা এনে একটা সময় পর পাপড়ি ছিঁড়ে পানিতে রাখি। এরপর গোলাপের সেই পাপড়ি আবার শুকিয়ে একটা বোতলে ভরে রাখি। এত বছরে আমাকে যত গোলাপ দিয়েছে, সব পাপড়ি আমি বোতলে ভরে রেখে দিয়েছি।’
এত বছর ধরে ফুল দিয়ে গেলেও মানুষটিকে ওই সময়ে দেখতে পাননি বলেও জানালেন শাবনূর। শাবনূরের ফুলপ্রীতির একাধিক স্থিরচিত্র কয়েক দিন ধরে তাঁর ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। ফুল নিয়ে কথা বলছেন। ফুলের বাগান কিংবা পার্কে ফুলের সামনে তোলা স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
শাবনূর বললেন, ‘ফুল তো বরাবরই আমার পছন্দের। আগে ফেসবুক ছিল না বলেই হয়তো অনেকে জানতেন না। অস্ট্রেলিয়া আসার পর এখানে দেখলাম, ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যাল হয়। ফুল সম্পর্কে আরও কত কী জানতে পারি। এবারও গিয়েছিলাম সিডনির ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যালে। এরপর ফেরার পথে আমার সিডনির বাসার পাশের একটি পার্কে ফুলের সামনে ছবিগুলো তোলা।’
শাবনূরের পছন্দের ফুল কী, জানতে চাইলে বললেন, ‘সাদা যত ধরনের ফুল আছে, সবই আমার পছন্দের ফুল। এর মধ্যে যদি বলি, বেলি, রজনীগন্ধা, সাদা গোলাপ, দোলনচাঁপা, বকুল ফুল।’
খোঁপায় গোঁজার জন্য কোন ফুল প্রাধান্য পেত, এমন প্রশ্নে শাবনূর বললেন, ‘বেলি, এ ছাড়া খোঁপায় পরার ক্ষেত্রে অন্য কোনো ফুলের কথা ভাবতেই পারতাম না। সুযোগ পেলেই বেলি ফুল পরে ঢংঢাং করতাম। আমার সিনেমা যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাও বেলি ফুলপ্রীতি টের পেয়েছেন নিশ্চয়। আমার অভিনীত সিনেমার বেশির ভাগ গানে বেলি ফুল থাকতই। বিশেষ করে বেলি ফুল ফোটার সময়ে তো এটা অবশ্যই অবশ্যই ছিল। আমার ভক্তরাও জানেন, বেশির ভাগ গানে বেলি ফুলে সাজে আছি আমি। তখন মনে মনে ভাবতাম, ভবিষ্যতেও যখন আমি ছবিতে অভিনয় করব না, তখন এই বেলি ফুলের সাজে আমাকে দেখতে পারব। বয়স হলে এসব দেখে স্মৃতিকাতর হব।’