বছরের নির্দিষ্ট একটা সময় মেয়ে সায়রাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া চাই অভিনেত্রীর আজমেরী হক বাঁধনের। মা-মেয়ে একসঙ্গে পরিকল্পনা করেন ভ্রমণের। তার পর থেকে শুরু হয় বাঁধনের টাকা জমানো আর মেয়ের স্কুল ছুটির অপেক্ষা। সময় ঘনিয়ে আসাটাও যেন রোমাঞ্চকর অনুভূতি। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার মা-মেয়ে ঘুরছেন তুরস্কে। বাঁধন জানালেন, আড়াই বছর বয়স থেকেই মেয়েকে নিয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরছেন। এর পেছনেও রয়েছে আরেক গল্প।
‘রেহানা’ অভিনেত্রী জানান, মেয়ের গ্রীষ্মের বন্ধ। এই ছুটিকে টার্গেট করেই গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ভ্রমণের। তাঁদের তুরস্কের ভিসাও করা ছিল। যে কারণে এখন মা-মেয়ে ঘুরছেন ইস্তাম্বুল, আনাতলিয়াসহ বেশ কিছু শহরের পছন্দের জায়গাগুলোতে। ‘আমি আর আমার মেয়ে প্রতিবছর চেষ্টা করি একটা করে ট্যুর করতে। কারণ, এর সঙ্গে নিজেদের মানসিক গঠনের অনেক বড় যোগাযোগ আছে। ভ্রমণ করলে মেধামনন–চিন্তার জায়গায় অনেক পরিবর্তন হয়। যে কারণে শৈশব থেকেই মেয়েকে নিয়ে ঘোরার অভ্যাস তৈরি করেছি।’ বলেন বাঁধন।
ঘোরাঘুরি শুরুর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে বাঁধন বলেন, ‘আমার জীবনের ট্রাভেলিংটা শুরুই হয়েছে মেয়ে জন্ম নেওয়ার পর। সায়রার যখন আড়াই বছর বয়স, তখন থেকেই ওকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরি। বেশির ভাগ দেশের বাইরে বেড়ানো মেয়ের সঙ্গে। মেয়ে হওয়ার আগে আমার ট্রাভেলিং সেই অর্থে শুরু হয়নি। একা একা হয়তো কাজের জন্য গিয়েছি। কখনো আমার ফিল্ম নিয়ে গিয়েছি, জুরি সদস্য হয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণে গিয়েছি। এর বাইরে ঘুরতে গেলে মেয়ে থাকবেই।’
ঘোরাঘুরি নিয়ে মা ও মেয়ের পছন্দও নাকি একই রকমের। দুজনেরই নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ডিজনিল্যান্ড, ইউনিভার্সাল স্টুডিওর মতো জায়গাগুলো খুব পছন্দের। ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে মেয়ের পছন্দকেই সব সময় প্রাধান্য দেন বাঁধন। এবার তাঁদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে তুরস্ক ভ্রমণ। নতুন এই জায়গার প্রেমে পড়েছেন বাঁধনেরা। তিনি বলেন, ‘নতুন জায়গাগুলো সব সময়ই ভালো লাগে। এ পর্যন্ত যত ট্রিপ দিয়েছি, তার মধ্যে সেরার একটি তুরস্ক ঘুরতে আসা। কারণ, তুরস্ক আমাদের প্রথম ভ্রমণ। দেশটা অনেক সুন্দর। এত এত ঐতিহাসিক জায়গা দেখে আমরা মুগ্ধ।’
আগামী মাসের ৮ তারিখে ফেরার কথা রয়েছে মা-মেয়ের। এর মধ্যে বেশ কিছু কাজ নিয়ে কথাও হয়েছে। সেগুলোতে ব্যস্ত হতে চান বাঁধন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের এখন যে বয়স, এ বয়সে ওর সঙ্গে আমার ভ্রমণের টেস্ট মিলে যাচ্ছে। ও যে জায়গাগুলো এক্সপ্লোর করতে পছন্দ করে, আমিও সে জায়গাগুলোই পছন্দ করি। আমি আবার যে জায়গা পছন্দ করি, সে–ও সেই জায়গাগুলো পছন্দ করে। মেয়ের বয়সটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ১২ বছর। আমাদের চিন্তার সঙ্গে মিলে যাওয়াটা ভালো লাগে। এর আগে ডিজনিল্যান্ড, ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে গিয়ে আমি ভয় পেয়েছি, কিন্তু আমার মেয়ে আগ্রহ নিয়ে দেখেছে। মেয়ের জন্যই প্রতিবছর টাকা জমিয়ে একবার হলেও ঘুরতে বের হবই।’