তারকারা সবাই মিলে একটি পরিবার, একটা সময় এমনটিই বলা হতো। সেই পরিবারের সবার মধ্যে পরস্পর সম্মান-শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কারও সম্মান নষ্টের সঙ্গে সবার সম্মান জড়িত থাকত। যে কারণে তারকারা যা–ই বলতেন, সেটা ভেবে বলতেন। পরচর্চা, সমালোচনা, কুৎসা রটানো থেকে দূরে থাকতেন। সেই জায়গা থেকে তারকারা দিন দিন সরে যাচ্ছেন যেন।
শুধু তা–ই নয়, সহকর্মীরা তাঁদের কাছে একেকজন হয়ে যাচ্ছেন শত্রু। কাউকে পছন্দ না করলেই তাঁকে নিয়ে নানা কথা জেনেবুঝেই রটাচ্ছেন। এতে যেমন তারকারা ভক্তদের কাছে ছোট হচ্ছেন, তেমনি তারকাদের নিয়ে ভক্তরা হাসিঠাট্টায় মেতে উঠছেন। কেউ কেউ ট্রল করছেন। এসব ঘটনায় গুণী প্রবীণ তারকারাও দিন দিন অন্তরালে চলে যাচ্ছেন। প্রবীণ-নবীন তারকাদের মধ্যে আগের মতো সেই মেলবন্ধনও নেই। শিল্পী পরিবারের মধ্যে ভাঙন ধরছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন তারকারা এমন আচরণ করছেন?
কদিন আগের কথা। মেলবন্ধনের লক্ষ্যে তারকারা নিজেদের মধ্যে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের আয়োজন করেন। সেই খেলাকে কেন্দ্র করে একদল অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা সহকর্মীদের আরেক দলের ওপর হামলা চালান। সহকর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কে কাকে দেখে নেবেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়, হুমকি দেন একে অন্যকে। এমনও দেখা গেছে, প্রকাশ্যে একে অন্যকে বোতল ছুড়ে মারছেন! কাউকে মেরে ফেলার মতো হুমকি দেওয়া হয়। সেগুলো দেশের গণমাধ্যমে এসেছে। দেনদরবার কম হয়নি। সেদিন ঢাকার মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপংকর দীপনের দলের মধ্যে খেলাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
পর্দার বিনোদন দেওয়া মানুষদের এমন আচরণ যেন ভক্তদের কাছে হয়ে উঠছিল বিনোদন! সময়ের দুজন তারকার সঙ্গে কথা বলা জানা গেল, এখনো তাঁরা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন না। এই হট্টগোলের দিন পক্ষে–বিপক্ষে ছিলেন মনির খান শিমুল, শরীফুল রাজ, মনোজ প্রামাণিক, মৌসুমী হামিদ, জয় চৌধুরী প্রমুখ। এখনো তাঁরা অনেকেই একে অন্যকে এড়িয়ে চলছেন।
এরপর সম্প্রতি একটি লাইভ ঘিরে আলোচনায় এসেছেন অপু বিশ্বাস। তিনি সহকর্মী শবনম বুবলীকে ঘিরে মন্তব্য করার কারণেই এ আলোচনা। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই তারকার মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক। নাগরিক টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে এসে অপু বলেছেন, ‘আসলে ওনাকে (বুবলী) আমি ঘৃণা করি। একবাক্যে এই কথাটি বললাম। ওনার নাম নিতে আমার ব্যক্তিত্বে বাধে। জানি, এই ওয়ার্ডটা (শব্দটা) প্রচুর ভাইরাল হবে। এটা আমার জন্য ম্যাটার করে না। আমাকে নিয়ে তাঁর কী মন্তব্য, জানার সময়ও নেই। একবাক্যে তাঁকে ঘৃণা করি। ইংলিশে “হেট” বললে আরও স্মার্ট হয়।’ এ নিয়ে ভক্তদের প্রশ্ন, সরাসরি অন্যকে এভাবে আঘাত করা কতটা শোভনীয়? কেউ কেউ তাঁদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভক্তরা সেই সময় মন্তব্য করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে পছন্দ-অপছন্দ করতেই পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে এমন আচরণ তারকা ভাবমূর্তিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? সিনেমার সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপে রুবেল নামের একজন লিখেছেন, ‘এরা নিজেদের যেমন সস্তা করতেছে, তেমনি অশিক্ষার পরিচয় দিচ্ছে। এখন আর তাদের সিনেমা দেখতে ইচ্ছা করে না।’
সেই ঘটনার এক দিন পরই অপুর প্রশ্নের জবাব দেন বুবলী। শবনম বুবলী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুর কামড়ানো মানুষের শোভা পায়?’ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই কবিতার লাইন কার উদ্দেশে লিখেছেন, সেটা ঠিকই ভক্তরা ধরেছেন। তারকাদের এই কাদা–ছোড়াছুড়ি পরিস্থিতি ঢালিউডকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে? তবে অপুর এমন আচরণ এই প্রথম নয়, এর আগে চ্যানেল২৪–এর একটি সাক্ষাৎকারে অপু বুবলীকে ছোট করে কথা বলেন। এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুণী এক অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের সময়েও তারকাদের মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটত। কিন্তু আমরা কখনোই প্রকাশ্যে বলে বেড়াতাম না। আমাদের মধ্যে সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ ছিল। নিজেদের মধ্যে মিটমাট করতাম। আমরা নেতিবাচকভাবে আলোচনায় কখনোই আসতে চাইনি। সেই চর্চার কথা ভাবতেই পারিনি।’
শরীফুল রাজের সঙ্গে সংসার, বিয়ে, বিচ্ছেদসহ নানা কারণে আলোচনা–সমালোচনায় ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে ব্যক্তিগত ভালো ও খারাপ লাগার অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরীমনির কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, ইন্ডাস্ট্রির কাকে দেখলে তাঁর মারতে ইচ্ছা করে? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘সামনে একজন মার খাবে, খাওয়ার পর সবাই এমনি জানতে পারবে। কিন্তু এখন যদি বলে দিই, তাহলে সে সতর্ক হয়ে যাবে, আমার সামনেই পড়বে না। আর মজার বিষয় হচ্ছে, তারা মার খায় কিন্তু কিছু বলে না। মার খেয়েও তারা চুপ হয়ে থাকে।’ একজন চিত্রনায়িকার এমন বক্তব্যে হতবাক ভক্তরা। সিনেমা ও নাটকের গ্রুপে নিউজগুলো অনেকেই ভাগাভাগি করেছেন। সেখানে তন্ময় অধিকারী নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একটা সময় ছিল সাধারণ মানুষ তারকাদের ব্যক্তিত্ব, আচার–আচরণকে অনুসরণ করত। কিন্তু এই সময়ে আদর্শ খুব বেশি তারকা ধরে রাখতে পারছে না। বরং তারকাদের কাণ্ড হয়ে ওঠে হাস্যকর। প্রশ্নগুলোও হাস্যকর।’
এর আগে খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে থাপ্পড় মেরে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা আলোচিত হয় ঢালিউড অঙ্গনে। তখন জানা যায়, চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে কেন্দ্র করেই এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ ঘটনা প্রসঙ্গে জায়েদ জানিয়েছিলেন, ‘তেমন কিছু ঘটেনি।’ তবে সেই সময় চলচ্চিত্রের অনেকেই এ ঘটনা ও দুজনের মুখোমুখি কথা বলার সাক্ষী। পরবর্তী সময়ে ওমর সানী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে লিখিত আকারে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে অভিনেত্রী মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছেন জায়েদ।’ সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আবেদন জানিয়ে ওমর সানী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। সেই ঘটনার পর থেকে আর সেভাবে সামনে আসেননি অভিনেত্রী মৌসুমী।
ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে বড়দের সম্মান করার রেওয়াজ কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত আগস্ট মাসের কথা বলা যাক। সেই সময় ছোট পর্দার তরুণ অভিনয়শিল্পী আরশ খান ও অভিনেত্রী রোকাইয়া জাহান চমকের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রোকাইয়া জাহান অভিনয়ের চেয়ে অনেক বেশি আলোচনায় আসেন সহকর্মী অভিনয়শিল্পী আরশ খানের বিরুদ্ধে সরাসরি যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর অভিযোগ এনে। চমকের এ অভিযোগ থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। একইভাবে চমক শুটিং সেটে জ্যেষ্ঠ সহকর্মী মাসুম বাশারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে মাসুম বাশার জানিয়েছিলেন, তিনি জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী হিসেবে ঘটনার মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন। কথা বলার জন্য সবাইকে নিয়ে মেকআপ রুমে যান। রুমে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী চমক বলতে থাকেন, ‘ওই লোকটা আমাকে মেরে ফেলবে, আমাকে বাঁচান।’
শুধু তা–ই নয়, মাসুম বাশারকে নিয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন চমক। এ ঘটনায় মর্মাহত হন মাসুম বাশার। চমকের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের সমাধানে এগিয়ে আসে নাটকের সংগঠনগুলো। পরে অভিনয়শিল্পী সংঘ ও ডিরেক্টরস গিল্ডের কাছে ক্ষমা চান চমক। তিনি জানান, সব অভিযোগ মিথ্যা ছিল। এমন ঘটনায় ডিরেক্টরস গিল্ড তাঁকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করে। এই শাস্তি তিনি মেনে নেননি। এরপর ঘটনা নিয়ে অভিনেতা আরশ খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ দিল চমক, সেটা কি সরি বললেই সমাধান হবে? সামাজিকভাবে যে আমি সবার কাছে ছোট হয়েছি, আমার সঙ্গে অনেকের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। মিথ্যা একটা অভিযোগে অনেকেই আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, এ ঘটনায় আমার শুধু সুইসাইড করা বাকি ছিল।’
গত ঈদে মুক্তি পায় ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা। সিনেমা দুটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও আফরান নিশো। সিনেমার প্রচারণা থেকেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এবার মূলত ভক্তদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। দুই তারকার ভক্তরা একে অন্যকে এগিয়ে রাখতেই এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটান। পরে এসব নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তারকাদের। একসময় আফরান নিশো ব্যক্তিগতভাবে দেশের এক তারকাকে আক্রমণ করে বসেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে ক্যারিয়ার ও বয়সের প্রসঙ্গ আসে। এ সময় নিশো বলেন, ‘বয়স বলতে তো আমার সমস্যা নেই। আমি তো সো কল্ড ওই হিরো না যে আমি বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না।’ বক্তব্যটি আলোচনায় আসে। অনেকে মন্তব্য করেন, কথাগুলো নিশো শাকিব খানের উদ্দেশে বলেছেন। কিন্তু এ ঘটনায় শাকিব খান চুপ ছিলেন। তাঁকে শুধু সিনেমার প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
২০১৮ সালের ঘটনা। বরিশালে তিন দিনের শুটিং ছিল অ্যালেন শুভ্রর। সেটে গিয়ে শুটিং হঠাৎ দুই দিনে শেষ করতে বলেন এই অভিনেতা। পরিচালক নিয়াজ মাহবুব রাজি না হওয়ায় অ্যালেন দুই দিন পর ঢাকায় চলে আসেন। সাত দিন পর আবার শুটিং নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা হলে নতুন করে পারিশ্রমিক দাবি করেন এই অভিনেতা। কিন্তু পরিচালক রাজি হননি। এ ঘটনা নিয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীর মধ্যে কথা–কাটাকাটিও হয়। পরে জানা যায়, ঢাকার মগবাজার এলাকায় নির্মাতাকে ইট দিয়ে আঘাত করেন অভিনেতা। পরে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন অ্যালেন।
তারকাদের এমন আচরণ নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানান, ঘটনাগুলোতে বোঝা যায়, অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব। সহজে তারকাখ্যাতি এর অন্যতম কারণ। যে কারণে কিছু অভিনয়শিল্পীর মধ্যে ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এসব কথিত তারকা নিজেদের আচরণ কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করেন না। কাউকে ছোট করে, নেতিবাচক কথা বলে মজা পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারা বা তাঁকে নিয়ে আলোচনা হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। আলোচিত–সমালোচিত এসব অভিনয়শিল্পীর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোচিকিৎসক ও সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ কথা, তারকা কারা? একটা সময়ে যাঁর মধ্যে বিশেষত্ব আছে, যিনি দর্শকপ্রিয় বা যিনি মানুষের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য এবং যাঁর তারকাসুলভ আলাদা গুণাবলি আছে, তাঁদের তারকা বলা হতো। কিন্তু এখন তারকা হওয়ার মতো কোয়ালিটি নেই, তাঁদেরও তারকা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। দ্রুত নগরায়ণের মতো দ্রুত তারকায়ন হয়ে গেছে। ফলে তারকা হওয়ার জন্য যে গ্রুমিং, স্কুলিং ধাপগুলো পার করতে হয়, সেই পথে না হেঁটে আগেই কেউ কেউ নিজের ভেতরে তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাই কিন্তু সহকর্মী বা অন্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন।’
এ সময় হেলাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এ ছাড়া অনেকেই রয়েছেন দ্রুত অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে চান। তাঁরা শিল্প বুঝতে চান না। সেই মানসিকতা থেকে অনেক সময় তাঁরা অন্যকে নিচু করে, অন্যের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে নিজেকে আলোচনায় রাখতে চান। যে কারণে কেউ কেউ অপ্রাসঙ্গিক কিছু করে ভাইরাল হওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। ৫ লাখ বা ১০ লাখ অনুসারী হলেই তারকা, এমনটা বানানোর কোনো কারণ নেই। এসব ফলোয়ার সব সময় রুচিবিকৃতি বা রুচিবৈকল্যকে বুঝতে পারেন না। এসব রুচিবৈকল্য মানুষের কারণে অনেকেই তারকা হয়ে যাচ্ছেন। কাকে ফলো করছেন, সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে। সব ঘটনাকেই এক রকমভাবে বিবেচনা করা যাবে না। অনেক সময় তারকাদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝির কারণেও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।’