পুণ্য ও প্রিয়মের সঙ্গে পরীমনি
পুণ্য ও প্রিয়মের সঙ্গে পরীমনি

এবারের ঈদ ছিল পরীমনির জন্য কঠিন অভিজ্ঞতা, কারণ...

চিত্রনায়িকা পরীমনির জীবনে অনেক ওঠা–নামা। তাঁর জীবন ঘিরেও রহস্যের শেষ নেই যেন। তাঁর হেন বিষয় নেই, যা নিয়ে মানুষের কৌতূহল নেই। অবশ্য তাঁকে নিয়ে মানুষের ভাবনায় মোটেও চিন্তিত নন পরী। খেয়ালখুশিমতো চলাতেই যেন তাঁর আনন্দ। শুধু একটি জায়গায় পরীমনিকে থমকে যেতে দেখা যেত। স্কুলশিক্ষক নানা শামসুল হক গাজীকে নিয়ে ছিল তাঁর যত চিন্তাভাবনা। গত বছরের শেষ দিকে এই মানুষটি মারা যান। নানাকে ছাড়া পরীমনির জীবন কেমন চলছে, তা এবারের ঈদে ছিল স্পষ্ট। পরীমনি তা নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ করেছেন। এই চিত্রনায়িকা জানান, এবারের ঈদ ছিল তাঁর জন্য কঠিন অভিজ্ঞতা।

চিত্রনায়িকা পরীমনি

মৃত্যুর পর দিশাহারা হয়ে পড়েন পরীমনি। কখনো কখনো নিজেকে সামলে নিয়েছেন কাজে ফিরে। আবার একাকী সময়ে নানার কথা মনে পড়লে সবকিছু এলোমেলো হয়ে পড়ে।

পরীমনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এবারের কোরবানির ঈদ আমার জন্য নতুন কঠিন এক অভিজ্ঞতা! ঢাকার বাসায় নানুকে ছাড়া প্রথম কোরবানি আমার। এখানে স্বজনেরা বলতে কেবল আমার স্টাফরাই। তাদের নিয়েই ঈদের দিন পশু কোরবানি করা হলো। বেশ আনন্দফুর্তিতে ঈদ চলে গেল।’

নানার সঙ্গে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পরীমনি

চিত্রনায়িকা পরীমনির পুত্রসন্তান শাহীম মাহমুদ রাজ্য, এ খবর সবারই জানা। রাজ্যকে এখন পুণ্য নামেই ডাকেন মা পরীমনি। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কন্যাসন্তানের অভিভাবকত্ব নেন ঢাকাই ছবির এই অভিনেত্রী। এর পর থেকে কাজের বাইরে দুই সন্তানকে নিয়ে পরীমনির যত ব্যস্ততা। ঈদের পরদিন থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনি যেন জীবনটাকে আরও নতুনভাবে উপলব্ধি করলেন। তাঁর লেখা ফেসবুক পোস্টেও তেমনটাই ইঙ্গিত করেছেন।

পরীমনি লিখেছেন, ‘পরের দিন (সব থেকে পুরোনো যিনি আমার সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে থাকেন) আন্টি ছুটি চাইলেন পাঁচ দিনের জন্য, দিলাম। ব্যস, এরপরই একজন একজন করে সবার ছুটির আবদারে আমাকে পড়তে হলো এক ইমোশনাল কারবারে। এখন আমি সবার ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে একপ্রকার একা একাই দুই বাচ্চা সামলাচ্ছি! যদিও দুজন নারী আমার সঙ্গে আছেন। একজন অসুস্থ, অন্যজন নতুন বলে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। যা–ই হোক, আমি পেরে যাচ্ছি, এই বড় কথা।’

সব জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে তাই পরীমনি নিজেকে নিজে বলছেন, ‘নিজের মাতৃত্বের সময়টা উপভোগ করো পরী।’