শাকিব খান
শাকিব খান

ভিন্ন লুকে শাকিব খান

এফডিসিতে দুই দিন ধরে চলছে ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রের গানের শুটিং। এই গানে শাকিব খানকে একেবারে ভিন্ন লুকে দেখা গেছে। কয়েকটি স্থিরচিত্রে দেখে নেওয়া যাক অন্যরকম শাকিব খানের গানের শুটিং। ছবিগুলো ফারহান রোমানের সৌজন্যে পাওয়া  
দুই দিন ধরে সেট বানানোর কাজ হয়েছে। এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের রাস্তায় তৈরি এই সেট দেখতে গ্রামীণ মেলার মতো। সারি সারি করে বানানো হয়েছে নানা ধরনের দোকানপাট। গত মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ ছবির মেলার গানের শুটিং। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গানটির শুটিং করেন তিনি।
বুধবার সকাল থেকেও গানটির শুটিং হয়। ‘স্বপন দেশের স্বপন নয়রে, এটাই জন্মভূমি আমার, মনের দেশে সবাই রাজা, আমি একাই রাজকুমার—এমন কথার একটি গানের শুটিংয়ে এভাবেই দেখা গেছে শাকিব খানকে। গত দুই দিন এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় বড় আয়োজনে এই গানের দৃশ্যধারণ হয়েছে। গানটিতে শাকিব খানের সঙ্গে তিন শতাধিক নৃত্যশিল্পী অংশ নিয়েছেন।
‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রের এই গানের কথা লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। গ্রামীণ মেলার পটভূমির গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন ভারতের অশোক রাজা। তিনি এর আগেও শাকিব খানের ছবির গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন।
গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর পাবনায় রাজকুমার ছবির শুটিং শুরু হয়। এরপর চেন্নাইয়ে এক দফা মারপিটের শুটিং হয়। ঢাকার শুটিং শেষ করে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শাকিব খানসহ পুরো ইউনিট উড়াল দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। বাকি অংশের শুটিং সেখানেই হবে।
পরিচালক হিমেল আশরাফ বলেন, প্রেম, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে রাজকুমার।
রাজকুমার চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। শাকিব খানের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখেছেন।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এফডিসিতে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন কোর্টনি কফি। তিন দিন শুটিং করে নিজ দেশে ফিরে যান কফি। এরপর ভারতের চেন্নাইয়ে এসে বাকি অংশের শুটিং করেন। শুটিংয়ে শাকিবে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন কোর্টনি। শাকিব খান প্রসঙ্গে ভিডিও বার্তায় কোর্টনি কফি বলেন, ‘শাকিব খান বাংলাদেশের জন্য টম ক্রুজ। টম ক্রুজের মতোই জনপ্রিয় সে। শাকিব খুবই প্রফেশনাল, কাজে মনোযোগী, সহশিল্পী হিসেবে একেবারে পারফেক্ট এবং শুটিংয়ে সে খুবই মজার মানুষ ছিল। তার সঙ্গে পুরো কাজের অভিজ্ঞতা খুবই দারুণ ছিল।’