কলকাতার সিনেমা ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার ২’ থেকে বাদ পড়লেন ঢাকাই ছবির নায়ক ফেরদৌস। তাঁর জায়গায় যুক্ত হতে পারেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা মোশাররফ করিম। এমনটাই জানিয়েছেন ছবির প্রযোজক রানা সরকার।
রোববার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে প্রযোজক বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি থেকে ছবিটির কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ফেরদৌস সংসদ সদস্য হওয়ার পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যোগাযোগ করেও তখন পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা শুটিং পিছিয়ে দিই। ভেবেছিলাম, ফেরদৌস যখন সময় দেবেন, তখনই কাজ শুরু করব। কিন্তু আর কত সময় নেব। কিছুদিন ধরে যোগাযোগ করে তাঁকে পাচ্ছি না। ফোন, ফেসবুক কোথাও নেই তিনি। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে বাদ দিয়েছি।’
তবে ফেরদৌসকে বাদ দেওয়ার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পর্কের বিষয়ও ইঙ্গিত দিয়েছেন এই প্রযোজক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি, বাংলাদেশে ছাত্রদের এই আন্দোলনে ফেরদৌসের কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং ছাত্রদের বিপক্ষে তাঁর অবস্থান ছিল। এখানে একটি পাবলিক সেন্টিমেন্টের ব্যাপার আছে। কারণ, আমরা ছবিটি দুই বাংলায় মুক্তি দিতে চাই। সেভাবেই চিত্রনাট্য করা। এখন এই ছবিতে ফেরদৌস থাকলে বাংলাদেশে মুক্তির পর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।’
শুধু তাই-ই নয়, এই আন্দোলনে যেসব তারকা বিপক্ষে বা চুপ ছিলেন, তাঁদের কাউকেই এই ছবিতে নিতে চান না প্রযোজক।
ফেরদৌসের বিকল্প বাংলাদেশ থেকে কে হতে পারেন—জানতে চাইলে রানা সরকার বলেন, ‘মোশাররফ করিমও হতে পারেন। তাঁকে তো দেখলাম ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মাঠেও নেমেছিলেন। তা ছাড়া দারুণ একজন অভিনেতা। কলকাতায় অনেকগুলো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এখন আমরা কথা বলতে পারি। দেখা যাক কী হয়।’
এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের মতো ফেরদৌসকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। কলকাতার সিনেমা থেকে তাঁর বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, দুই বাংলায় মুক্তি দেওয়া হবে ছবিটি। এ জন্য ছবির গল্পও সেভাবে সাজানো হয়েছে। দুই বাংলার সীমান্তবর্তী মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, আদান–প্রদান, ভালো–মন্দ নিয়ে ছবিটির গল্প।
ভারতের মুর্শিদাবাদ-বাংলাদেশ সীমান্ত ও বাংলাদেশের কক্সবাজারে ছবির শুটিং করার কথা আছে।
ছবিতে বাংলাদেশ থেকে অভিনয় করছেন জিয়াউল রোশানসহ আরও কয়েকজন। কলকাতা থেকে আছেন শ্রীলেখা মিত্র, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, প্রিয়াঙ্কা সরকার প্রমুখ।