অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আয়োজিত ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব মেলবোর্নে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘আগন্তুক ’(দ্য স্ট্রেঞ্জার)। বিপ্লব সরকারের নির্মিত চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন রম্য রহিম চৌধুরী, তাজুল হক ও বিপ্লব সরকার। উপমহাদেশের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে ১৫-২৫ আগস্ট আয়োজিত হচ্ছে এই জমজমাট উৎসবের ১৫তম আসর।
চলচ্চিত্রটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, সাহানা রহমান সুমি, রতন দেব, মাহমুদ আলম, এহান, রাফসান, হৃদয়, হাসিমুন, নাঈমা তাসনিমসহ অনেকে।
চলচ্চিত্রটি ২০১৯-২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পেয়েছে।
এটি বিপ্লব সরকারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর আগে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম চলচ্চিত্র আসর বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে ‘আগন্তুক’-এর প্রিমিয়ার হয়।
২০২২ সালে এটি ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ফিল্ম বাজারের ভিউয়িং রুমের রিকমেন্ডস বিভাগে পোস্টপ্রোডাকশন স্টেজের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে প্রসাদ ল্যাব ডিআই ও মুভিবাফ অ্যাপ্রিসিয়েশন পুরস্কার জিতে নেয়।
আন্তর্জাতিক সমালোচকেরা আগন্তুক চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করেন। চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে কাজল নামে ১০ বছর বয়সী এক বালককে ঘিরে। মা ও অসুস্থ দাদিকে নিয়ে কাজলদের সংসার। অনেক দিন ধরে নিখোঁজ কাজলের বাবা হঠাৎ একদিন ফিরে এলে শুরু হয় টানাপোড়েন।
সিনেমাটি নিয়ে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘আগন্তুক অত্যন্ত সাহসী একটি প্রযোজনা। খুবই সময়োপযোগী গল্প এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রগুলো থেকে এর নির্মাণশৈলীও একেবারে আলাদা। প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীদের প্রতি আমার শুভকামনা রইল।’
এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক বিপ্লব সরকার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় পৃথিবীতে বিচ্ছিন্নতার মধ্যে থাকি। কাজের জন্য একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে সেটা অনুভব করতে পারি না। মহামারির মধ্যে গৃহবন্দী অবস্থায় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। মহামারি সেই বিচ্ছিন্নতা আরও গভীরভাবে ভাবিয়েছে। চরিত্রগুলো নির্মাণে তাড়িত করেছে।’
ক্যাপশন: আগন্তুক-এর পোস্টার