সম্প্রীতি, শান্তি এবং নিজ নিজ স্থানে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ৪০ জন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এই সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ এবং দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন থেকে যৌথভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২০ জুলাই বিশেষ অভ্যর্থনার জন্য জাতিসংঘের সদর দপ্তরের ডেলিগেট ডাইনিং রুমে ৪০ জন ব্যক্তির হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন জায়েদ খান।
দ্য ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোমেসি রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জায়েদ খান সম্পর্কে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহিরুল হক (জায়েদ খানের প্রকৃত নাম) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষভাবে স্বীকৃত। তাঁর স্টেজ নাম জায়েদ খান। তিনি বাংলাদেশের বহুমুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারী; তিনি সিনেমা অভিনেতা, প্রযোজক ও পারফরমার। তাঁর ক্যারিয়ার ২৫ বছরের। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তাঁকে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। খানের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৬ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমা দিয়ে। প্রতিশ্রুতিশীল এই অভিনেতা পরবর্তী সময়ে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছেন ‘নগর মাস্তান’, ‘দাবাং’–এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা দিয়ে। ‘নগর মাস্তান’ সিনেমায় তাঁর সহ–অভিনেত্রী ছিলেন পরীমনি।
আরও বলা হয়, চলচ্চিত্র পরিচালক মালেক আফসারী তাঁর মধ্যে প্রতিভার খোঁজ পান। এই অভিনেতাকে ২০১৭ সালে ‘অন্তর্জ্বালা’ সিনেমায় কাস্ট করেন। অভিনেতার বাইরে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন চাওয়া-পাওয়া অভিনেতা হিসেবে তাঁর খ্যাতি আছে। কারণ, পর্দার বাইরে তিনি মানবিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জায়েদ খানের কর্মজীবন, বহুমুখী প্রতিভা, নিরলসভাবে কাজ করা প্রমাণ করে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রশিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। সিনেমার প্রতি তাঁর আবেগ ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতা তরুণ শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মোহিত করে।
জায়েদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে জানালেন, শিগগির দেশে ফিরবেন।