সাংহাই চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় ‘শিকলবাহা’র অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু, পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন ও প্রযোজক সারা আফরীন। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে
সাংহাই চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় ‘শিকলবাহা’র অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু, পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন ও প্রযোজক সারা আফরীন। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

সাংহাইতে ‘শিকলবাহা’র প্রিমিয়ার

গত রোববার রাতে সাংহাই ফিল্ম আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো কামার আহমাদ সাইমনের নতুন সিনেমা ‘শিকলবাহা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এশিয়ার অন্যতম চলচ্চিত্র উৎসব সাংহাইয়ের মূল প্রতিযোগিতায় এবার জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি।

উৎসবে যোগ দিতে সাংহাই পৌঁছেছেন পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন, প্রযোজক সারা আফরীন ও সিনেমার অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু।

প্রিমিয়ারের আগে গত শনিবার মূল প্রতিযোগিতার কুশলী হিসেবে চীনের প্রাচীনতম এই চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় হেঁটেছেন কামার, সারা ও অণু। গত রোববার রাতে প্রিমিয়ার শেষে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন, প্রযোজক সারা আফরীন ও অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু দর্শকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।

গত রোববার রাতে সাংহাই ফিল্ম আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো কামার আহমাদ সাইমনের নতুন সিনেমা ‘শিকলবাহা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। ছবি : নির্মাতার সৌজন্যে

এ ছাড়া সিনেমাটি নিয়ে তাঁদের একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। চলতি বছর ১০৫টি দেশ থেকে ৩ হাজার ৭০০টির বেশি ছবির মধ্যে মাত্র ১৪টি ছবি সাংহাইয়ের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ ‘গোল্ডেন গবলেট’-এ মনোনীত হয়েছে।

সিনেমার প্রিমিয়ারের পর গতকাল ঈদের সকালটা চমক দিয়ে শুরু হয় অণুর। ঈদের সকালে তাঁর ঘুম ভেঙেছে সাংহাই ক্রাউন প্লাজা হোটেলের রিসেপশনের ফোনে। একগুচ্ছ গোলাপের সঙ্গে একটি মুকুট আর কার্ড এসেছে তাঁর নামে, যেখানে লেখা আছে ‘আপনার ১ নম্বর ভক্ত।’

‘শিকলবাহা’ সিনেমার দৃশ্যে

অণু বলেন, ‘জীবনের প্রথম সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার, তা–ও সাংহাইয়ের মূল প্রতিযোগিতায়—ঈদের আগের রাতে হলভর্তি দর্শক ছিল। এমনিতেই রাতটা একটা ঘোরের মধ্যে কেটেছে, তারপর ঈদের সকালে এই গোলাপের তোড়া! এর অনুভূতি জানানোর ভাষা নেই আমার।’

ইউরোপের অন্যতম সম্মানিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা জার্মানির উইডেম্যান ব্রোস ও বাংলাদেশের স্টুডিও বিগিংয়ের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি শিকলবাহা। ২০১৪ সালে কানের লা ফ্যাব্রিক সিনেমা দ্যু মুন্দেতে নির্বাচিত ১০টির মধ্যে ছিল এই ছবির চিত্রনাট্য। তখন সিনেমাটির নাম ছিল শঙ্খধ্বনি। উল্লেখ্য, এই ছবির জন্যই পরপর দুই বছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক প্রেস্টিজ গ্র্যান্ট ওয়ার্ল্ড সিনেমা তহবিলের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কামার। এ ছাড়াও গোটেবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবের স্ক্রিপ্ট গ্রান্ট ও জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল শিকলবাহা।